নিমেষেই বদলে গেল জীবন। চিনা মেয়ের এক পদক্ষেপেই সরে গেল তাঁর পায়ের তলার মাটিটা। চেহারা নিয়ে ক্রমশ রসিকতার চাপে নাস্তানাবুদ হতে থাকা, সুন্দরী এই তরুণীর জীবনে যে এত বড় ঝড় নেমে আসবে, কেউ হয়ত ভাবতে পারেননি।
আরও পড়ুন: (Vastu Tips: ভুলেও বাড়িতে লাগাবেন না এই ৫টি গাছ, জীবনে ঘনিয়ে আসবে দুঃখের কালো ছায়া)
ঠিক কী ঘটেছে
চিনে বাড়ি। চিনের বাসিন্দা। তবুও কেন চিনাদের মতো দেখতে নয়! তরুণীর চেহারায় প্রায়ই অমিল খুঁজে পেতেন বন্ধুরা। সন্দেহ প্রকাশ করতেন যে আদৌ এই মেয়ে চিন দেশের তো, নাকি ভিন দেশের। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত হেনস্থা হয়ে একবার চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিজের পরিচয় প্রমাণে ডিএনএ টেস্টের পরিকল্পনা করে বসেন তিনি। তারপরেই ঘটে কাণ্ডটা।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মতে, হেনান প্রদেশের জিনজিয়াং থেকে আসা ডং নামের ওই তরুণীর বয়স মাত্র ২৪ বছর। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন যে কীভাবে তাঁর সহকর্মীরা প্রায়শই তাঁর চেহারা নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁকে বার বার শুনতে হয় যে 'তুমি আমাদের মতো দেখতে নয়।' তাঁর সহকর্মীরা কটাক্ষ করে বলতেন, 'তুমি দেখতে মোটেও আমাদের মতো না। তোমার নাক চওড়া, তোমার ঠোঁট মোটা এবং তোমার চোখ আমাদের চোখের চেয়ে বড় এবং গভীর।'
ক্রমশ এমন শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে পড়েন তিনি। ডিএনএ টেস্ট করান। রিপোর্ট আসতেই, কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে পড়ে কেউটে। নিজেই অবাক হয়ে যান। ডিএনএ রিপোর্ট থেকে তিনি জানতে পারেন যে তিনি তাঁর বাবা-মায়ের নিজের সন্তান নন। তাঁর বায়োলজিক্যাল বাবা-মা হয়ত অন্য কেউ।
আরও পড়ুন: (Ghee Recipe: ঘি তৈরি করতে আর লাগবে না দুধ, কীভাবে বানাবেন? দেখে নিন চট করে)
ফের নতুন টুইস্ট
খুব স্বাভাবিকভাবেই, ডংয়ের ডিএনএ টেস্ট রিপোর্টটি আগুনের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২৪ অক্টোবর খবরটি সামনে আসার পর থেকে, ইন্টারনেটে অনেক লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অনেকেই ডংকে তাঁর আসল পিতামাতার সন্ধান করতে উৎসাহিত করছে। ডিএনএ রিপোর্ট অনুযায়ী, ডং এর বায়োলজিক্যাল পরিবার দক্ষিণ চিনের গুয়াংসি প্রদেশ থেকে এসেছে। অর্থাৎ হেনানে তাঁর বর্তমান পরিবারের সঙ্গে এর কোনও সংযোগই নেই।
এমন সময়, একজন মহিলা এসে দাবি করেন যে ছোটবেলায় ওই মহিলার মেয়ে হারিয়ে হয়েছিল। ডংই তাঁর হারিয়ে যাওয়া মেয়ে হতে পারেন। কারণ কাকতালীয়ভাবে যেহেতু, ডংয়ের মতন তার মেয়ের বয়সও এখন এই সময়ে ২৪ হওয়ার কথা। তাছাড়া ওই মহিলা আরও দাবি করেন, আমাদের মধ্যে যদি ডিএনএ মিলে যায়, তাহলে ডংই হয়ত ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়ার আমার মেয়ে।