বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > উত্তরের বারান্দায় উঁকি দেয় প্রকৃতি, ছয় ঋতুতে তার ছয় রূপ
পরবর্তী খবর

উত্তরের বারান্দায় উঁকি দেয় প্রকৃতি, ছয় ঋতুতে তার ছয় রূপ

যখন এখানে এসেছিলাম...

কদিন পর বাতাস ছুটে নিয়ে এল মেঘ। আবার আঁধার করে এল ঝড়, তার সঙ্গে টুপটাপ বৃষ্টি। পরে তা ঝরঝর ঝরে প্রকৃতিকে ঠান্ডা করে দিয়ে গেল। বারান্দায় বসে দেখলাম ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে বর্ষার দ্যোতনা।

চুমকি পিপলাই

যখন এখানে এসেছিলাম, তখন বারান্দা থেকে উত্তরের ছোট বনাঞ্চলে গাছেরা ছিল পত্রহারা। তাদের শুকনো ডালে ঠোকাঠুকি ছিল, পাখিরা সেখানে পাতার আড়ালে মুখ লুকাতে পারছিল না। এখন, সামনের শিরিষ গাছের ডালে কাঠঠোকরা একমনে পোকা খুঁজে চলেছে, হাঁড়িচাচা পাশের ডালে বসেই আপন মনে সাথীকে ডেকে যাচ্ছে। ও পাশের মহানিমের ডালে বসে এক ঝাঁক ছাতার ঝগড়াতে ব্যস্ত। দূরে কোথায় বউ কথা কও ডেকে উঠল, বামদিক থেকে এক সুরে একটা কোকিল ডেকে যাচ্ছে। পাতাবিহীন জঙ্গলের একটা অন্য রূপ আছে। তার শুষ্ক খয়েরি ঘেরাটোপের ফাঁক দিয়ে দূরে কোন গ্রামের নারকল গাছ উঁকি দিচ্ছে। ভরা জঙ্গলে নজর পড়ে না এমনই দু একটা বাড়ির ছাদ কিংবা রড দেখা যাচ্ছে।

কদিন পর বাতাস ছুটে নিয়ে এল মেঘ। আবার আঁধার করে এল ঝড়, তার সঙ্গে টুপটাপ বৃষ্টি। পরে তা ঝরঝর ঝরে প্রকৃতিকে ঠান্ডা করে দিয়ে গেল। বারান্দায় বসে দেখলাম ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে বর্ষার দ্যোতনা। কদিন পর তাকিয়ে দেখি গাছের পাতায় চিকন সবুজ। রোদ ওঠার আগে থেকেই পাখিদের আনাগোনা। দোয়েলের শিষ, বুলবুলিদের পাখা ঝাপটানি, নিচে শালিক পাখির জটলা আর কাঠবিড়ালির ছোটাছুটি। দুটো কোকিলের দুধার থেকে কুহু কুহুর বিরাম নেই। পাঁচিলের ধারে ন্যাড়া অমলতাসেরও কচি সবুজ পাতা জেগেছে। অমলতাস চেনো? যাকে সাদা বাংলায় বলে বাঁদর লাঠি। হু, এটাও কিন্তু ওষধি গাছ!

কত নাম না-জানা গাছ
কত নাম না-জানা গাছ

আমাদের শোওয়ার ঘরে জানলার পাশে একটি টিয়া দম্পতির ছানা হয়েছে। তাদের কচি কচি ডাক শোনা যায়। বারান্দা দিয়ে দেখতে পাই মা-বাবার খাবার বয়ে আনা। তার কদিন পরেই ছোট ছানাদের নিয়ে উড়ান শেখার প্রচেষ্টা। হঠাৎ একদিন খেয়াল হল তারা আর নেই। কিছুদিন পরে হাঁড়িচাচার দম্পতির সংসার। বঙ্কিম বাবুর ভাষায়, কোকিলের থেকে হাঁড়িচাচা ভালো। সত্যিই তাই, কী সুন্দর দেখতে ওদের! লম্বা লেজটা হলুদ খয়েরিতে চিত্রণ করা। পাখনা মেলে যখন উড়ে যায় কী ভালো যে দেখতে লাগে!

বর্ষার জল পেয়ে সমস্ত গাছগুলো সবুজ আবরণে ঢেকে গেল। শিরিষ, রাধাচূড়া, নিম, মহানিম, জারুল, জাম আরও কত নাম না-জানা গাছ। দূরের রাধাচূড়ায় হলুদ ফুলের আলপনা। কাছের একটা গাছে লালচে পাতার বাহার, কিছুদিন পরে আবার সেটা সবুজ হয়ে গেল। জঙ্গলের মধ্যে একটা খেজুর গাছ হলদে কমলা খেজুরে ভরে গেল। পাখি আর কাঠবিড়ালিদের কি আনন্দ!

রোজ সকালে আর বিকেলে চা নিয়ে এই বারান্দায় এসে বসি। দুটি বেলার বৈচিত্র্য দু'রকম। সকালের নরম রোদে পাখিদের চঞ্চলতা অন্য ধরনের। আমি যখন উঠি তার অনেক আগে থেকেই তাদের দিন শুরু হয়ে গিয়েছে। শালিক, বুলবুলি, দোয়েল, পায়রা, ছাতার, ফিঙে, হাঁড়িচাচা, বউ কথা কও, ঘুঘু, কাঠঠোকরা এমনকি গভীর জঙ্গলে বসে কুব কুব করে যে কুবো পাখি ডাকে, তাদেরও প্রথম পর্বের খাওয়া শেষ। তারা কেউ ঝগড়া করতে ব্যস্ত, কেউ লতার ফাঁকে দোল খেতে, কেউ আপন মনে শিস দিতে, কেউবা উড়ন্ত থেকে বসন্ত হতে থাকছে। শিরিষ গাছের ডালে একটি বসন্তবৌরি ছোট্ট গলা থেকে ভারী শব্দ করে ডাকছে আর ঠোঁট দিয়ে গাছের ডালে ঠকাঠক করে চলেছে।

এরপর এল একদিন তুমুল ঝড়। পশ্চিম দিক থেকে কালো মেঘে ঢেকে গেল আকাশ। বারান্দায় চেয়ার নিয়ে দরজার মুখে বসলাম। গাছেরা পাল্লা দিয়ে এ ওর গায়ে ঢলে পড়ছে, শুয়ে পড়ছে। তার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি, বিদ্যুৎ চমকানো আর বজ্রপাত। মনে মনে স্মরি ‘সঘন গহন রাত্রি ঝরিছে শ্রাবণধারা’। না, রাত্রি নয়, সবে বিকেল থেকে সায়াহ্নে এসেছি। দক্ষিণ-পূর্ব দেখছি না, উত্তর-পশ্চিমের দ্রুত বেগে হাওয়া আর ঝমাঝম বৃষ্টি যেন অবাক বিস্ময় ভরে তুলেছে। কবে কোন ছোটবেলায় জানলা দিয়ে এক চিলতে আকাশে বৃষ্টি নামা কিম্বা সরু গলির ফাঁকে ঝমঝম বৃষ্টির সোঁদা গন্ধ, এই দিনের বৃষ্টিকে মহান করে দিল। বৃষ্টি থামতে দেখি ফুলে ভরা রাধাচূড়ার লুন্ঠিত।

কদিন পরে সকালবেলা রোদে বারান্দায় এসে দেখলাম অমলতাস হলুদ ফুলের ঝুড়িতে হাসছে। ছোট গাছ কিন্তু তার সারা মাথা ভরে আছে ফুলে ফুলে। শুধু তাই নয়, তাকে ঘিরে শুধুই হলুদ প্রজাপতিরা ভিড় করে আছে। এ যেন এক পরম পাওয়া। বলি ‘প্রভাতে উঠিয়া এ ফুল হেরিনু দিন যাবে মোর ভালো’।

হলুদ ফুলের ঝুড়িতে হাসছে
হলুদ ফুলের ঝুড়িতে হাসছে

আজ আর সেই উত্তরে বারান্দা নেই। এক আস্তানা থেকে আমরা এসেছি অন্য আস্তানায়। মনে পড়ছে সকালে কুবো পাখির ডাক, ছাতারের ঝগড়া, পায়রার বকবকুম, বউ কথা কও-এর দোল খাওয়া, দোয়েলের শিষ, হাঁড়িচাচার উড়ন্ত চপলতা, মৌটুসি, বি-ইটারের ফুলে ফুলে মধু খাওয়া, হরেকরকম প্রজাপতির পাখনা মেলা। এরাই শুধু নয়, মনে জাগছে রাধাচূড়া, মহানিমের পাতা দোলানো, অমলতাসের হলুদ বাহার, আরও কত নাম না জানা গাছের চঞ্চলতা।

এই নতুন আস্তানাতেও রয়েছে উত্তরে বারান্দা। এখানে জঙ্গল নেই বটে, কিন্তু প্রাঙ্গণের ধারে ধারে অনেক গাছ। সেগুন, কদম, জারুল, আরও অনেক গাছ। এখানে পাখিরা আসে তবে ওই বারান্দাটা যেন আরও ভালো ছিল এখানে দেখি ছোট ছোট গাছের নিচে দিয়ে ডাহুক আর কুবো পাখির আনাগোনা। বড় গাছে শালিক আর ছাতারের ঝগড়া ওখানের মতোই। ছাতাররা বড়ই ঝগড়াটে। কাউকেই তাদের চৌহদ্দিতে ঢুকতে দেয় না। একটা চিৎকার করলেই সবাই এসে তার সঙ্গে যোগ দেয়। আর কাক, শালিক বা টিয়া যারাই থাক না কেন তাদের তাড়িয়েই ছাড়ে। তেঁতুল গাছের মাথায় একজোড়া বিদেশি পাখি ‘ওরিয়ল’ এসেছে। কদিন পরেই তাদের ছানা হল। আর টিয়া বলে যাদের ভাবতাম, তারা হলো প্যারাকিট। বেশ বড় সাইজ আর লাল মাথা, বুকের মাঝখানটা কালো সাদা ডোরা। ভারী অদ্ভুত। আর একটা পাখি দেখা যাচ্ছে, সাদা রঙের, বেশ বড় লেজ, নাম তার দুধরাজ। এসব পাখির নামই শুনিনি কখনও, দেখা তো দুরস্থান। একদিন নিচের আঙ্গিনার মাঝারি গাছ থেকে একটি অদ্ভুত ডাক ভেসে আসছে। অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করে দেখলাম সাদার মধ্যে কালো ফুটকি এক অদ্ভুত দেখতে পাখি। কোকিল না ঘুঘু ভাবতে ভাবতে গুগল করে দেখা ওটা মেয়ে কোকিল। তার পাশে আরেকটা গাছ থেকে কুহু কুহু করে ডেকে তার পাশে এসে বসল। আমরা আশ্বস্ত হলাম কোকিল দম্পতিকে দেখে।

পরে একদিন দেখলাম ছোট ছোট গাছে ভরা জঙ্গলটিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। কদম, লজ্জাবতী, কত নাম না জানা গাছ সবাই নিকেশ হয়ে গেছে। মন খারাপ হল। ওটা হয়তো আবাসিকদের কিচেন গার্ডেন হবে। তাই হর্টিকালচার থেকে পরিষ্কার করে গিয়েছে। এই উত্তরে বারান্দা থেকে দেখা যায় দূরের একটা ন্যাড়া গাছ কাক আর শালিকদের শেষ বিকেলে রোদ পোহানো আরেকটা গাছের নানা পাখিদের জটলা আর নিজেদের সুরের গান ওপরে আকাশ দিয়ে বকের সারি। একটু নিচে টিয়ার ঝাঁক এদিক-ওদিক করছে। ফিঙ্গে, চাতক উড়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ হলুদ থেকে লাল, কমলা আর গোলাপি হয়ে গেল। তারপর ঝুপ করে আঁধার নামে।

এখন শীতের মরসুমে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া, রোদের আসা যাওয়া কম। তবে ওখান থেকে পাশের বাড়ির বাগানে দেখি মরসুমি ফুল আর সবজি গাছের সমাহার। সবুজ বাগানটা দেখলেও মন ভরে যায়। সেগুন গাছে ফুল ধরেছে, বিশাল একটা কুলগাছে ফল ভরে রয়েছে‌। পাখি আর কাঠবিড়ালি ছোটাছুটির মহাধুম। উত্তরের হাওয়ায় হাড় কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। তবু কনকনে ঠান্ডার রেশটা বেশ ভালোই লাগছে। কদিন পরে আবার আসবে ফাগুন হাওয়া। বিচিত্র অভিজ্ঞতায় মন ভরে থাকার অমল আনন্দে।

(চুমকি পিপলাইকে সকলে চেনেন নৃতত্ববিদ (অ্যানথ্রোপলজিস্ট) হিসাবে। যদিও এর পাশাপাশি তিনি দীর্ঘ দিন ধরে লেখালিখি করে চলেছেন। তাঁর লেখায় কখনও উঠে এসেছে দুর্গম এলাকার মূলবাসীদের সংস্কৃতি, কখনও বা তাঁর কলমে স্থান পেয়েছে স্বল্প পরিচিত পাখিদের ডাক। প্রকৃতি থেকে তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। আর তার টানেই ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত। নৃতত্বের পথ ধরে হেঁটে চুমকি পিপলাই এঁকেছেন পর্যটনের অন্য এক মানচিত্র।)

Latest News

চোয়ালচাপা লড়াইয়ে ম্যাচ বাঁচাল ব্রিটিশরা, একটুর জন্য জয় হাতছাড়া ভারতীয় যুব দলের ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বানানোর দোরগোড়ায় ছিলেন নানা পাটেকর! কিন্তু কেন ফসকে গেল সুযোগ ঝাড়খণ্ডে এনকাউন্টারে নিহত ২ মাওবাদী, জখম এক কোবরা জওয়ান মিছিলে লোক আনতে না পারলে পাওয়া যাবে না ‘মাল’এর ভাগ, হুঁশিয়ারি ভাঙড়ের TMC নেতার 'প্রিয় ইলন ভাই!' টেসলা শো-রুম উদ্বোধন হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ঝড় প্রমাণ সংগ্রহে ব্যর্থ পুলিশ, কড়েয়া গণধর্ষণ মামলায় ১১ বছর পর বেকসুর খালাস ৩ সমৃদ্ধ হচ্ছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক, এবার আসতে চলেছে জিরাফ-জলহস্তী, চলছে প্রস্তুতি মোবাইলে গেম খেলার আবদার! ৪ বছরের শিশুকে সমুদ্রে ফেলে দিল সৎ বাবা এবার দলেরই অপর গোষ্ঠীকে খুনের হুমকি দিলেন হুমায়ুন আয়ের থেকে ব্যয় বাড়ছে হুহু করে? মানিব্যাগে রাখুন এই ৫ জিনিস, লক্ষ্মী অচলা হবেন

Latest lifestyle News in Bangla

ব্রেন টিউমার থেকে রক্তক্ষরণ! রাতারাতি অস্ত্রোপচার মৃত্যুমুখ থেকে ফেরাল রোগীকে ওয়ার্নিং লেবেল লাগাতে বলা হয়নি! জিলিপি, সিঙাড়ার ভুয়ো খবর দেখে মুখ খুলল কেন্দ্র সাপে কামড়ালে ভুলেও দেবেন না বাঁধন, তার বদলে কী করা উচিত? জেনে নিন নুনের সোডিয়াম থেকে বাড়ছে নানা রোগ, স্বাস্থ্যকর নুন খাওয়াতে নয়া উদ্যোগ নিল ICMR দেশজুড়ে বাড়ছে ওবেসিটি আর অবসাদ, সুস্থ হয়ে ওঠার টোটকা দিলেন রাষ্ট্রপতি ওষুধ ছাড়াই মহিলাদের শরীরে বাড়বে আয়রন! ৫ আয়ুর্বেদিক উপায় জানালেন ডাক্তার সত্তরেও এটি খেয়ে চাঙ্গা থাকেন পরেশ রাওয়াল! মূত্রপানের পর ফাঁস তাঁর আরেক রহস্য হাজার খেটেও অধরা টাকা, ৪৫ লাখ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের আয় তলানিতে! কারণ জানাল সমীক্ষা ৫০০০ পথকুকুরদের রোজ খাবার খাওয়াবে বেঙ্গালুরু প্রশাসন! দেবে টিকাও, কেন এই উদ্যোগ? নিপা ত্রাস কেরলে! মৃত্যু ১, নজরদারিতে ৫৪৩ জন, কী কী উপসর্গ এই সংক্রমণের?

IPL 2025 News in Bangla

টাকা ধার নিয়ে ফেরত দেয়নি… যৌন শোষণের অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন RCB-র তারকা আইপিএল-এর মূল্যায়ন ১৫৮,০০০ কোটি ছাড়াল! সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজি হল… রাজ কুন্দ্রা ব্ল্যাকমেল করছে! আদালতে দাবি রাজস্থান রয়্যালস কর্ণধার গোষ্ঠীর! সামনে নেই T20! তবু কেন টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই ইংল্যান্ডে গেলেন সূর্যকুমার যাদব? আইপিএল ২০২৫-এ সাফল্যের পর ওজন বেড়েছে বৈভব সূর্যবংশীর! কী বললেন রাহুল দ্রাবিড়? আমি Royal Challenge খাই না! RCBকে নিয়ে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রীর মজাদার মন্তব্য বেঙ্গালুরুতে RCB সমর্থকদের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন রাহুল দ্রাবিড়! বিক্রি হতে পারে আইপিএল ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন RCB-র ফ্র্যাঞ্চাইজি: রিপোর্ট প্রীতি জিন্টার প্রশ্ন শুনে অবাক রিকি পন্টিং! কী বললেন পঞ্জাব কিংসের হেড স্যার? চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সুনীল গাভাসকর

Copyright © 2025 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.