মিষ্টি দেখলেই লোভ সামলাতে পারেন না, অথচ সুগার কিম্বা ওজনের ভয়ে সেদিকে হাত বাড়াতেও পারেন না! মিষ্টির দিকে তাকালেই অন্য কারোর চোখ রাঙানির ভয় পান? এবার কোন মিষ্টিতে কতটা চিনি বা সিঙ্গারায় কতটা শর্করা থাকবে তার মান নির্ধারিত করার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় 'ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অউ ইন্ডিয়া।' এই তথ্য উঠে এসেছে বাংলার এক নামী দৈনিকের প্রতিবেদনে।
উল্লেখ্য, যে সমস্ত নামী ব্র্যান্ড বাজারে সিঙ্গারা, রসগোল্লা, কিম্বা গোলাপজামুন বিক্রি করে, তাঁদের কাছে কেন্দ্রের এই ভাবনা কার্যত বেশ চিন্তার বিষয়। কারণ কোন মিষ্টিতে কোন ধরনের স্বাদ থাকবে, বা কোন সিঙ্গারা কতটা নোনতা হবে,তার মাপকাঠি প্রতিটি সংস্থার কাছেই 'বিজনেজ সিক্রেট'। তা তারা কেউই ভাগ করতে নিতে চান না। ফেডারেশন অফ সুইটস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্সস -এর তরফে বলা হচ্ছে, এফএসএসআই জানিয়েছে কীভাবে এই স্বাদ সংক্রান্ত পথে প্রতিষ্ঠান এগোবে, তা নিয়ে পরামর্শ ফেডারেশন অফ সুইটস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্সসের থেকে চাওয়া হয়েছে। শিল্প মহলের মতামত নিয়েই প্রতিষ্ঠান তার চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। এদিকে, সমস্যার সমাধানের রাস্তা খুঁজছে শিল্পমহল। পুজোর মাসে রাজস্থান যাচ্ছেন? 'প্যালেস অন হুইলস' নিয়ে এই খবরটি জানেন তো!
ইটস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্সস বক্তব্য, লাড্ডুতে কতটা ঘি থাকবে, বিভিন্ন মিষ্টিতে চিনি কতটা থাকবে তা নিয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড বাঁধার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। সমস্যা হয়ে গিয়েছে, বাংলায় যেভাবে মিষ্টি তৈরি হয়, সেভাবে ওড়িশায় হয়না, সিঙ্গারা পশ্চিমবঙ্গের থেকে উত্তর ভারতের রাজ্যের রান্নার পদ্ধতি আলাদা, ফলে সমস্ত কিছুকে একটি 'স্ট্যান্ডার্ডে' নিয়ে আসার ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বলা হচ্ছে, বাংলার মিষ্টিতে জলের সঙ্গে ৩০ শতাং চিনি ব্যবহার করা হয়, বিহারে সেই শতাংশ ৪০। ফলে পার্থক্য থেকেই যাবে। সেই জায়গা থেক এএসআই কোনপথে হাঁটছে সেদিকে তাকিয়ে সকলে।