১২ বছর থেকে পুরুষদের এই হরমোন তৈরি হতে থাকে আর কুড়ি বছর বয়সে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয় এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই হরমোনের লেভেল কমতে থাকে। কিন্তু বর্তমানে আনহেলদি লাইফস্টাইলের কারণে টেস্টোটেরনের সঠিক লেভেল মেনটেন করা সম্ভব হয় না। টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতির জেরে পুরুষের যৌনক্ষমতা, তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা মিটছে না।
শুধুমাত্র সুস্থ যৌনজীবনের জন্য নয়, কায়িক শ্রম, চুলের বৃদ্ধি, পেশির পুষ্টি— অনেক কিছুর জন্য পুরুষ শরীরকে নির্ভর করতে হয় টেস্টোস্টেরন হরমোনের উপর। নারী শরীরেও এই হরমোনের ক্ষরণ হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নারীর ক্ষেত্রে তা পুরুষের তুলনায় কম।
নানা কারণে পুরুষদের এই হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এক্ষেত্রে অনেকে ওষুধ, ও নানা থেরাপি নিয়ে থাকেন। গবেষণায় দেখা গিয়ে ১০০ জনের মধ্যে ২৫ জনই লো-টেস্টোটেরনে ভুগছে। তাহলে উপায় কী এই হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণের?
অ্যান্ড্রোলজিতে প্রকাশিত একটি পদ্ধতি অনুসারে হাইপোগোনাডিজম এবং প্রিডাইবিটিস আক্রান্ত পুরুষদের জন্য সেস্টোটেরন থেরাপি কার্যকর হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে ডাইবিটিস রোগী যাদের সেস্টোস্টেরনের মাত্রা ছিল তিন এনওএল। এতে রক্তে স্বাভাবিক শর্করার মাত্রার তুলনায় হাইপোগোনাডিজমের মাত্রা ১.৮ গুণ বেড়ে যায়।
আপনার শরীরে সেস্টোস্টেরনের মাত্রা ৩০০-৯০০ থাকে তাহলে বুঝতে এর লেভেল নর্মাল রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি দেখেন এর মাত্রা ৩০০ নীচে কমে গিয়েছে তাহলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সেস্টোস্টেরনের মাত্রা বোঝা যায়। আমরা আজকে আপনাকে জানাব কিছু লক্ষণের কথা যা থেকে আপনি বুঝবেন আপনার সেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গিয়েছে। হঠাৎ করে যদি আপনি দেখেন আপনার মাসল কমে গিয়েছে, যৌন ক্ষমতা কমে যায়, যদি বিনা কারণে শরীরে চর্বি বেড়ে যায়, ঘুমের সমস্যা হলেও ধরে নিতে হবে আপনার সেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গিয়েছে।
তবে এই কারণগুলি অনান্য সমস্যার জন্যও হতে পারে তাই আপনার আগেই রক্ত পরীক্ষা করা উচিত।
এই হরমোন বাড়ানোর উপায় কী?
হরমোন থেরাপি
সেস্টোস্টেরনকে বলা হয় পুরুষ হরমোন। আর এই হরমোন কমে গেলে তাঁর যৌন চাহিদাও কমে যায়। এর ফলে পুরুষত্বহীনতার মতো জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। তবে হরমোন থেরাপি ৯৫% কাজে আসে। এই থেরাপি শরীরে হরমোনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। কোনও কারণে থেরাপি বন্ধ হয়ে গেলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে এর জন্য ইঞ্জেকসন নিয়ে থাকেন।এর আবার সাইড এফেক্ট থাকে তাই থেরাপি চলাকালীন ডাক্তারের কথা মেনে চলা উচিত।