ডিজিটাল এই দুনিয়ায়, ফোন স্ক্যামগুলি আরও সাধারণ হয়ে উঠছে। স্ক্যামাররা এখন আরও বুদ্ধি করে ফাঁদে ফেলছেন সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এই স্ক্যামারেদের কখনও ফাঁদে ফেললে কেমন হবে বিষয়টা, এমন প্রশ্ন নিশ্চয়ই মাথায় এসেছে আগে। এবার সেটাই কাজে করে দেখালেন শিব অরোরা। সম্প্রতি একজন স্ক্যামারকে রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি৷ কেবল ওই স্ক্যামারকেই যে বোকা বানিয়েছেন তা নয়, বরং মোক্ষম সময়ে তাঁদের মজার কথোপকথনটিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী কান্ড ঘটিয়েছেন শিব
পুলিশ অফিসারের ছবি সহ একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে প্রথমে কল আসে। প্রতারকরা একজন পুলিশ অফিসার হওয়ার ভান করে অরোরাকে বলেন যে অরোরার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর ছেলেটিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে। বিষয়টা যাতে বাস্তব বলে মনে হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য স্ক্যামারকে অরোরাকে বলেন, আমাকে আপনার ছেলের নাম বলুন, আমি আপনাকে তার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিচ্ছি।
অরোরা বুঝতে পারেন, তাঁকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন কেলেঙ্কারিতে পড়ার পরিবর্তে, অরোরা কিছু মজা করার কান্ড করেছেন। ফোনে প্রতারক তাঁর ছেলের নাম জিজ্ঞাসা করলে, অরোরা নিজের নাম বলেন, শিব।' স্ক্যামার তখন জিজ্ঞাসা করে যে তাঁর ছেলে কোথায়, আর অরোরা বলেন তাঁর ছেলে মোরাদাবাদে আছে। প্রতারক যখন অরোরা এবং ছেলের মধ্যে সম্পর্কের কথা জিজ্ঞাসা করলেন অরোরা মজা করে বলেন, 'নানি'।
তখনও হাল ছাড়েনি স্ক্যামের, ছেলেটির মায়ের সঙ্গে কথা বলাতে বলে সে। অরোরা সঙ্গে সঙ্গে এক মহিলাকে ফোন দেন। স্ক্যামার তাঁকেও বলেন 'শিব' গ্রেফতার হয়েছে। তারপর, আরও একজন অরোরার ছেলে হওয়ার ভান করে খুব নাটকীয়ভাবে 'মাম্মা, মামা' বলে জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করে। আর তা শুনে হেসে লুটোপুটি অরোরা। নিজের ফাঁদে নিজেই পড়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে ওই স্ক্যামার দ্রুত ফোন কেটে দেয়।
আরও পড়ুন: (Essay and Speech on Netaji: স্কুলে নেতাজিকে নিয়ে কিছু বলতে হবে? এখান থেকে একবার পড়ে নিলেই যথেষ্ট)
অরোরা ইনস্টাগ্রামে এই ঘটনাটি শেয়ার করার সময় বলেছেন, আজ পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন আসে এবং প্রোফাইলের ছবিটি ছিল একজন পুলিশ অফিসারের। ফোন করে আমাকে বলা হয় যে আমার প্রিয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ছাড়ানোর জন্য টাকা লাগবে। এর পরেই পোস্টে, অরোরা অন্যান্যদেরও এই প্রতারণার হাত থেকে নিজেদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন এবং ব্যক্তিগত বিবরণ শেয়ার করবেন না বা এই ধরনের পরিস্থিতিতে টাকা পাঠাবেন না বলেও জানান। এমন পরিস্থিতি এলে অবিলম্বে পুলিশকে রিপোর্ট করার কথাও বলেন।
ভাইরাল ভিডিয়ো দেখুন এখানে
বলা বাহুল্য, ভিডিয়োটি অনলাইনে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, পঞ্চাশ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন, এ ক্ষেত্রে তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং এই স্ক্যামগুলি কতটা সাধারণ তা দেখিয়েছেন। একজন বলেছেন, আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারে। হঠাৎ পুলিশ ফোন করে বলে যে আমার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও একজন বলেন, আমার খুড়তুতো ভাই তাঁর ছেলের ব্যাপারেও একই ফোন পেয়েছেন। এই অরোরার রসবোধও অনেক মানুষ পছন্দ করেছে। একজন নেটিজেন তো বললেন, 'আপনার হাসি আমাকেও হাসিয়েছে, ভাই!'