জি-২০ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বিশেষ ‘পদ্ম’ উপহার। উত্তরপ্রদেশের কারিগর মনমোহন সাইনি পেশায় একজন ধাতুর কারিগর। ধাতু দিয়ে নানা জিনিস তৈরি করা হয় তাঁর কারখানায়। সম্প্রতি তাঁর কাছেই বরাত আসে ‘কমলম’ তৈরির। উত্তরপ্রদেশ হস্তশিল্প কর্পোরেশন থেকে তাঁকে এই বরাত দেওয়া হয়। প্রায় আট মাস আগে তাঁকে বলা হয়, ৫০টি পিতলের ‘কমলম’ তৈরি করে দিতে হবে। এবার জি-২০ সম্মেলনে এই পুরষ্কারই তুলে দেওয়া হবে অতিথি অভ্যাগতদের হাতে। স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই উপহার তুলে দেবেন অতিথিদের হাতে।
(আরও পড়ুন: সুনকের টাই ঠিক করলেন স্ত্রী অক্ষতা, প্রেম দিল্লির রাস্তায়, খেলেন রেস্তোরাঁয়!)
প্রসঙ্গত, মনমোহন সাইনির পিতলের এই ‘কমলম’ আদতে কিন্তু হাতে তৈরি। যন্ত্রের সাহায্য না নিয়ে সম্পূর্ণ হাতেই তৈরি করেছেন ৫০টি পিতলের ‘কমলম’। বুন্দেলখণ্ডের মাহোবা জেলায় তৈরি করা হয় পিতলের ‘কমলম’। মনমোহন এর আগেও হস্তশিল্পে নিজের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। এর জন্য তাঁকে জাতীয় পুরষ্কারে সম্মানিত করেছে ভারত সরকার। জাতীয় পুরষ্কার বিজয়ী শিল্পীকেই তাই দায়িত্ব দেওয়া হয় পিতলের ‘কমলম’ বানাবার। উত্তরপ্রদেশ হ্যান্ডিক্র্যাফ্টস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং কর্পোরেশনের তরফে এই বরাত দেওয়া হয়। এই দিন সংবাদমাধ্যমকে মাহোবা নিবাসী মনমোহন জানান, তাঁকে বলা হয়েছিল এটি তৈরির সব কাঁচামাল আগে থেকেই দিল্লিতে পৌঁছে যাবে। সেখানেই হবে বাকি কাজ। তাঁর কাজ সুউচ্চমহলে প্রদর্শিত হবে এমনটাও জানানো হয় তাঁকে। অবশেষে জি-২০ সম্মেলনে সেই কাজ দেখানো হবে জানতে পেরে দৃশ্যত তিনি খুশি।
(আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন তাবড় শিল্পীরা, ৭৮ জনের তালিকায় কারা)
প্রসঙ্গত, এই বিশেষ ভাস্কর্যটি পাঁচ ইঞ্চি লম্বা। এর মধ্যে আটটি ছোট আর আটটি লম্বা পুষ্পদল রয়েছে। মনমোহন সাইনি জানান, ফুলটি যখন খোলা হবে, তখন ফুটে উঠবে পদ্ম ফুলটি। আবার যখন বন্ধ করা হবে তখন দেখতে লাগবে একটি পদ্মের কুঁড়ির মতো। প্রসঙ্গত, কর্পোরেশনের বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত মনমোহনের কাজ পরিদর্শনে আসতেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হয়েছে ৫০টি পদ্মের ভাস্কর্য। এর আগেও এই পদ্ম ফুল উঠে এসেছিল সংবাদের শিরোনামে। ২০১৬ সালে বিজেপি সাংসদ কুনওয়ার পুষ্পেন্দ্র চান্দেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি পদ্ম ফুল উপহার দেন। সেটি ছিল এই বিশেষ পদ্ম। তখনও তুমুল প্রশংসা হয় ভাষ্কর্যটির।