আর একমাস বাদেই দুর্গাপুজো। এর মধ্যেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে শহরের বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো মণ্ডপে মন্ডপের পাশাপাশি প্রতিমা নির্মাণের কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা। তবে দুর্গাপুজোর শুরুর আগে শহরের এক জনপ্রিয় ক্লাব শ্রীভূমিতে অন্য পুজোর রেশ। লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে আয়োজন করা হল গণেশ পুজোর। গণেশ চতুর্থীর বিশেষ দিনে এলাহি আয়োজনে সিদ্ধিদাতার আরধনায় মেতে ওঠেন ক্লাব সদস্যরা। গণেশ পুজোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন্ডপে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। এমনকী পুজোর বিশেষ অঞ্জলিও দেন সুজিত।
প্রতি বছরের থিমের ভাবনায় চমক লাগায় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। এই ক্লাবের পুজো দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ভিড় জমান কাতারে কাতারে মানুষ। চলতি বছরে শ্রীভূমির থিম ‘ডিজনিল্যান্ড’। থিমটিকে ঘিরে জোরকদমে চলছে মণ্ডপ নির্মাণের কাজ। ক্লাব সদস্যরা এই দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, গোটা পুজো যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেই প্রার্থনা করেছেন সিদ্ধিদাতা গণেশের কাছে।
প্রসঙ্গত, এক দিকে যেমন কাতারে কাতরে লোক টানে এই পুজো। তেমনই সমস্যার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছিল । পুজোর ভিড়ের জেরে অ্যাম্বুলেন্স থেকে সাধারণ ট্রাফিক নাজেহাল পরিস্থিতিতে পড়ে। পুজোয় ব্যবহার করা হয়েছিল লেজার লাইট। বিমানবন্দরের কাছেই পুজো হওয়ায় আপত্তি তোলা হয় বিমানবন্দর থেকেও। চলতি বছরে যাতে তেমন কোনও সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে ক্লাবকে। সতর্ক করেছেন স্বয়ং রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সভায় সুজিত বসুকে উদ্দেশ্য করে সতর্ক হতে বলেন। বলেন, এবারে এমন কোনও সমস্যা হলে ‘ব্লক’ করে দেওয়া হবে।
গত কয়েক বছর ধরেই বাংলায় গণেশ পুজোর প্রচলন ব্যাপক আকার নিয়েছে। পুজো মন্ডপে দেখা গিয়েছে শাসক দলের নেতাদেরও। চলতি বছরে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন।পুজোর উদ্বোধনে দেখা যায় মাননীয় সাংসদ সৌগত রায়কে। একই পুজোর উদ্বোধনে ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করেন গণেশ পুজো উপলক্ষে। এবার সরাসরি পুজোয় অংশ নিচ্ছেন দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্ৰী উদয়ন গুহ। তবে বিগ বাজেটের পুজোয় তিনিও অংশ নিচ্ছেন পরোক্ষে।