দিনে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা এক জায়গায় বসে কাজ করা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে প্রতিদিন গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এখন গ্যাস এমন একটা অসুখ যা প্রায় সকলেরই হয় তাই মোটামুটি সকলের বাড়িতেই আপনি গ্যাসের ওষুধ পেয়ে যাবেন। যেন কিছু সমস্যা হলেই টপ করে একটা গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নিতে পারলেই শান্তি।
গ্যাসের ওষুধ খেলে সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু মূল সমস্যার কোনও সমাধান হয় না। তাই কিছুদিন পর পর ওই একই সমস্যা মাথা চারা দিয়ে ওঠে। তাই অ্যালাপাথি বা হোমিওপ্যাথি নয়, গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র আয়ুর্বেদ। আয়ুর্বেদের এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে, যেগুলি আপনার হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্যাসের সমস্যাকে চিরদিনের জন্য শেষ করে দেবে।
(আরও পড়ুন: বিয়ের মাত্র ৩ মিনিটের মাথাতেই ডিভোর্স! কী কারণে শেষ হল বিশ্বের সবথেকে 'অল্প সময়ের বিয়ে'?)
দেখে নিন কোন কোন টোটকায় আপনার গ্যাসের সমস্যা শেষ হয়ে যাবে
জিরে জল: জিরে, প্রত্যেকের রান্না ঘরে খুব সহজেই পাওয়া যায়। জিরে যেমন রান্নার জন্য ভালো তেমন গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই জিরে। প্রথমে এক কাপ জলে কিছুটা জিরে নিয়ে সেদ্ধ করে নিন। অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না জিরে অর্ধেক হয়ে যায়। এরপর জল ছেঁকে নিন এবং একটি পাত্রে রাখুন। প্রতিদিন নিয়ম করে এই জিরে ভেজানো জল খান। দেখুন কেমন আপনার গ্যাস বাপ বাপ বলে পালাবে।
আজওয়াইন জল: আজওয়াইন অরফে জোয়ান হল গ্যাসের যম। পেটের গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি দূর করার জন্য প্রতিদিন জোয়ান ভেজানো জল খেতে পারেন আপনি। এটিকে ডিটক্স পানীয় হিসেবেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আবার চায়ে মিশিয়েও খেতে পারেন।
আদা চা: আপনি যদি ভাবেন আদা চা শুধুমাত্র জ্বর সর্দি, কাশির জন্য ভালো তা কিন্তু নয়। আদা চা যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার হজম ক্ষমতাও বাড়বে অনেক গুণ। পেটের মধ্যে আটকে থাকা গ্যাস থেকে আপনি মুক্তি পাবেন যদি প্রত্যেকদিন আদা চা খেতে পারেন নিয়ম করে।
(আরও পড়ুন: এইডস-এর ওষুধ কি এসে গেল? বছরে দু’বার এই ইনজেকশন নিলেই হবে, দাবি কয়েক জন বিজ্ঞানী)
মৌরি চা: আদা চায়ের মত একই উপকারী চা হলো মৌরি চা। গ্যাস এবং পেটের ফোলা ভাব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য প্রতিদিন মৌরি চা খেতে পারেন আপনি।
পুদিনা চা: গরমে পুদিনা পাতার জল যেমন উপকারী তেমন গ্যাস থেকে মুক্তি আপনাকে দিতে পারে পুদিনা চা। তাজা পুদিনা পাতা জলে সেদ্ধ করে সেই জল ছেঁকে প্রত্যেকদিন সকালে পান করুন। দেখবেন কেমন ম্যাজিকের মত কাজ করে।
হিং জল: গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হিংয়ের জল খেতে পারেন আপনি। তবে অনেকেই হিং-এর গন্ধ সহ্য করতে পারে না, সেক্ষেত্রে এই বিকল্প বেছে না নেওয়াই ভালো।