আজ, কর্ম ব্যস্ততার দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করা অত্যন্ত সাধারণ। মোটা টাকা ইনকামের আশায় দিনরাত এক করে কাজ করেছেন বেশিরভাগই। কিন্তু এমনটা করা কি আদতে ঠিক? জীবনের ভারসাম্য না বুঝে এইভাবে এগিয়ে যাওয়াটা কোন চোখে দেখেন স্বামী গৌর গোপাল দাস? 'ইন্ডিয়া টুডে' আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসে এই প্রসঙ্গেই কথা বলেছেন তিনি। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
গৌর গোপাল দাসের ৯ বাণী
১. স্বামী গৌর গোপাল দাস মানুষের কত ঘন্টা কাজ করা উচিত তা নিয়ে চলমান বিতর্কের বিষয়ে তার মতামত শেয়ার করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে সব ক্ষেত্রেই ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ।
২. তিনি বলেছিলেন যে কেউ যদি সর্বদা কাজ করতে চায়, তবে এটি তাঁর পছন্দ। যদি কেউ ২৪/৭ কাজ করতে পারে এবং এতে ভালো বোধ করে, তাহলে আমরা কে যে তাঁকে থামাতে পারি?
৩. তবে, তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন বার্নআউট। নিজেদেরকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করানো যেতেই পারে, কিন্তু এর জন্য মানসিক স্থিতি ভারসাম্য হারাতে পারে।
৪. স্বামী গৌর গোপাল দাস 'সার্ভেন্ট লিডারশিপ' সম্পর্কে কথা বলেছেন, যার অর্থ লিডারদের তাঁদের নেতৃত্বাধীন জনগণের স্বাস্থ্য এবং সুখের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। লিডারদের কেবল তাঁদের কাজের উপর নয়, টিমকে সুস্থ এবং সুখী করার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
৫. তিনি মানুষকে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য সর্বদা প্রকৃত সুখ বয়ে আনে না। পেশাগত সাফল্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সম্পূর্ণ পরিপূর্ণতার জন্য তা যথেষ্ট নয়।
৬. স্বামীজি উল্লেখ করেছেন যে আপনার কাজে দক্ষ হওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনি সত্যিকার অর্থে সমৃদ্ধ হচ্ছেন। প্রকৃত সাফল্য মানে আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উভয় জীবনেই ভালো বোধ করা।
৭. তিনি এদিন কবি বাশারের উক্তিটি উদ্ধৃত করে বলেন, আপনি শান্তিতে সাফল্য খুঁজে পান, এবং সাফল্যে আপনি শান্তি খুঁজে পান। তাঁর মতে, প্রকৃত সাফল্য তখনই আসে যখন আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জনের সময় শান্তি খুঁজে পেতে পারেন।
৮. স্বামী জোর দিয়েছিলেন যে এটি কেবল কঠোর পরিশ্রম করার বিষয় নয়। এটি বিশ্রাম এবং প্রতিফলনের জন্য সময় খুঁজে বের করার বিষয়ে। আপনার জীবনেও শান্তি থাকা দরকার।
৯. যদিও কঠোর পরিশ্রম করা এবং আপনার সেরাটা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, স্বামীজি তাই বলেন, 'আমরা যদি আমাদের কাজে শান্তি এবং পরিপূর্ণতা না পাই তবে আমরা কেন এত কঠোর পরিশ্রম করছি?'