বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > আপনিও কি ডিজিটাল আই স্ট্রেনের শিকার? স্বস্তির পথ দেখাচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ

আপনিও কি ডিজিটাল আই স্ট্রেনের শিকার? স্বস্তির পথ দেখাচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ

এখন বয়স্ক ও বাচ্চা— উভয়ের মধ্যেই ডিজিটাল আই স্ট্রেন দেখা যাচ্ছে।

করোনাকাল মানুষের জীবনযাত্রা প্রণালী অনেকটাই পালটে দিয়েছে। অফিস ও বাড়ির দূরত্ব এখন ক্রমশ আবছা হয়ে পড়েছে। এখনও অনেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। জীবন হয়ে পড়েছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্ক্রিনের ওপর নির্ভরশীল। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের চোখ। এখন বয়স্ক ও শিশু— উভয়ের মধ্যেই ডিজিটাল আই স্ট্রেন দেখা যাচ্ছে। তাই দেরি হয়ে যাওয়ার আগে নিজের মূল্যবান চোখের যত্ন নিন।

ডিজিটাল আই স্ট্রেন সাধারণত চোখ ও দৃষ্টি শক্তির সঙ্গে জড়িত নানা সমস্যার সমষ্টি, যা দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটার, ট্যাবলেট ও সেলফোন ব্যবহারের ফলে দেখা দিয়ে থাকে। অতিরিক্ত সময়ের জন্য স্ক্রিনে চোখ রাখার ফলে অনেকেই চোখের ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা প্রত্যক্ষ করছেন। তাই চোখ লাল হয়ে গেলে, অস্বস্তি অনুভব করলে, চোখ ঝাপসা হয়ে এলে বা শুকিয়ে গেলে কয়েকটি উপায় মেনে চোখের সমস্যা রোধ করুন।

মনিপাল হাসপাতালের অপথাল্মোলজির কনসালটেন্ট ড: জ্যোতি শেট্টি এইচটি ডিজিটালের সঙ্গে ফোনে আলাপচারিতায় ডিজিটাল আই স্ট্রেন কম করার কয়েকটি টিপস জানিয়েছেন। তিনি কাজ করার মাঝে মাঝেই ঘন ঘন চোখ পিটপিট করার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার প্রতি আধ ঘণ্টায় ২ মিনিটের জন্য ব্রেক নিতে বলছেন তিনি। আবার ক্ষতিকর নীলরশ্মি থেকে বাঁচার জন্য মোবাইল স্ক্রিনের রিডিং মোড অন রাখতে বলছেন ড: জ্যোতি শেট্টি।

চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ড: জ্যোতি শেট্টির জানানো টিপসগুলি হল – 

চোখের চেক-আপ করাতে ভুলবেন না- ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা অনলাইল ক্লাসের কারণে প্রত্যেকের ডিজিটাল স্ক্রিন টাইম প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে এমন হওয়ার পর অনেকের মাথা ব্যথা, চোখ টানা, ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি আবছা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়াও ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, কাঁধে ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর চোখের চেক আপ করিয়ে নেওয়া ভালো। ডিজিটাল স্ট্রেন পুরোপুরি কম করতে না-পারলেও এর পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়। তিনি জানান, ব্যক্তি অজান্তেই চশমার নম্বর বেড়ে যেতে পারে, এ কারণে চোখে টান অনুভূত হয়ে থাকে। আবার খুব কাছ থেকে এই সমস্ত গ্যাজেট ব্যবহারের ফলে চোখের সমন্বয় ও পেশী চলাচলে সমস্যা দেখা যায়।

চোখ ব্লিঙ্ক করুন- আমরা একনাগারে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ ব্লিঙ্ক করতে ভুলে যাই। এমন না করলে আমাদের টিয়ার ফিলসগুলি পুনরায় পরিপূর্ণ হয় না, যার ফলে চোখে শুষ্কতা দেখা দিতে এবং ব্যথা বাড়তে পারে। এ ছাড়াও চোখে জল আসা ও আবছা দৃষ্টিশক্তির সমস্যাও হতে পারে।

তাই চিকিৎসক শেট্টি জানিয়েছেন, কাজ করার সময় সচেতন ভাবে চোখ ব্লিঙ্ক করুন। তা সত্ত্বেও কিছুটা হলেও চোখ শুষ্ক হয়ে থাকে। এর জন্য টিয়ার সাবস্টিটিউট ব্যবহার করতে পারেন। দিনে ২ থেকে ৩ বার এটি ব্যবহার করুন, এটি চোখ ময়শ্চারাইজ রাখবে। এর ফলে ব্যথা, চোখ লাল হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল ঠিক করুন- সাধারণত এক হাত দূরে যে কোনও গ্যাজেট রাখা উচিত। চোখ থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৮ ইঞ্চি দূরে। আবার স্ক্রিনের উচ্চতা থাকতে হবে চোখের লেভেল থেকে ৪ ইঞ্চি নীচে। এমন অনেকে আছেন যাঁরা ল্যাপটপ বা আইপ্যাড নিজের কোলের ওপর রেখে ঘাড় নুইয়ে তা দেখতে থাকেন। এর ফলেও অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই ল্যাপটপ বা আই প্যাডকে একটি ডেস্কটপের মতো ব্যবহার করুন। টেবিলে বা একাধিক বইয়ের ওপর রেখে এর উচ্চতা বাড়ান। ঘাড় সোজা রেখে বসুন।

স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা হ্রাস করুন

আপনি যে ঘরে বসে কাজ করছেন, সেই ঘরের রশ্মির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা নির্ধারণ করুন। এ ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কনট্রাস্ট রাখুন, ইলিউমিনেশান রাখুন সর্বনিম্ন স্তরে। তার পর প্রয়োজন অনুযায়ী ইলিউমিনেশান বাড়ান, যার ফলে এটি আপনার স্বচ্ছন্দ ও ঘরের আলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে।

অন্ধকারে কাজ করবেন না

কখনও নিজের বিছানায় শুয়ে এবং ঘরের আলো নিভিয়ে, স্ক্রিনের আলোয় কাজ করবেন না। এ ছাড়াও ঘরের আলো থাকা উচিত আপনার মাথার ওপর। ঘরের আলো যাতে স্ক্রিনের ওপর, আপনার সামনে বা আপনার চোখে না-পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখুন।

স্ক্রিনের ক্ষতিকর নীল রশ্মি থেকে কী ভাবে নিরাপদে থাকবেন- বর্তমানে অনেকে নিজের চশমায় ব্লু লাইট ফিল্টার লাগিয়ে এই ক্ষতিকর নীল রশ্মি থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু চিকিৎসক শেট্টি এই ফিল্টার ব্যবহারের পরামর্শ দেন না। কারণ এই ফিল্টারগুলি স্থায়ী ভাবে লাগানো হয়। কিন্তু মস্তিষ্কের নানা ক্রিয়াকলাপের জন্য সামান্য নীল রশ্মি অত্যন্ত জরুরি। তাই চশমায় ফিল্টার লাগানোর পরিবর্তে মনিটরে এই ব্লু লাইট ফিল্টার লাগানোর কথা বলেন তিনি। মোবাইল, আইপ্যাডে রিডিং মোড অপশান থাকে। এটি আসলে এক ধরনের ব্লু লাইট ফিল্টার। 

২০-২০-২০ নিয়ম- এ ক্ষেত্রে ২০ মিনিটের কাজের পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের একটি টার্গেটে দেখতে বলা হয়। এ ক্ষেত্রে জানালার বাইরে, কোনও পাখি বা গাছ দেখুন। আবার ২ মিনিটের জন্য অন্য কিছু দেখে ফের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এর ফলে ক্রমাগত চাপের মুখে পড়া পেশীগুলি স্বস্তি পাবে।

সূর্যরশ্মিতে যান- অধিকাংশ বাচ্চারাই ঘরের মধ্যেই থাকে এবং এর ফলে তারা সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে কম আসে। কিন্তু সূর্যের আলো গায়ে লাগাও জরুরি। তাঁর মতে, বাচ্চারা যখন স্কুলে যেত, তখন তাঁরা কিছু সময় বাইরে থাকত, চোখের মণির বিকাশের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে স্ক্রিন টাইম বৃদ্ধি ও সূর্যের আলোর সংস্পর্শে কম আসার ফলে অধিকাংশ বাচ্চার চোখেই চশমা দেখা যায়। তাই সূর্যের আলোয় আসা অত্যন্ত জরুরি।

টুকিটাকি খবর

Latest News

কলকাতায় নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা, ৭০ হাজার ছুঁইছুঁই হলুদ ধাতুর দাম চিনে নিন KKR-এর ১৬ বছর বয়সী রহস্য স্পিনার গজনফরকে, দেখুন চমকপ্রদ বোলিংয়ের ভিডিয়ো ‘‌অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাপে আছেন’‌, প্রার্থী দিতে না পেরেও দাবি করলেন দিলীপ প্রযোজকরা বলেছিলেন ভারতীয় দর্শক টিভিতে গর্ভবতী মহিলাদের দেখতে অপছন্দ করেন: মিনি নতুন দুলহানিয়া হচ্ছেন জাহ্নবী, ‘সানি কতটা সংস্কারি’ এবার সেই আপডেট দিলেন বরুণ সিএএ ইস্যু ব্যুমেরাং হতে পারে, চাপে পড়ে ইস্যু বদল করল বিজেপি, প্রচারে এল কী? বাংলায় এখনও ঝুলে জোট, বিহারে RJD-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়ছে বাম-কংগ্রেস, কত আসনে? নির্মাণ সংস্থায় বেআইনি লেনদেন, আয়কর স্ক্যানারে ৫০০ তৃণমূল নেতা কড়া শাসন-সুরক্ষার মধ্যে বড় করেছেন অভিষেক-শ্বেতাকে, গোপন কথা ফাঁস করলেন জয়া হুগলিতে প্রচারে তৃণমূলের রচনা, ব্যস্ততার ফাঁকেই শুনলেন, BJP-তো প্রাক্তন স্বামী

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.