সারা বছরে কমবেশি মশার উৎপাত থাকলেও সব থেকে বেশি মশার উৎপাত বাড়ে বর্ষাকালে। বর্ষায় একদিকে যেমন জল বাহিত রোগের সমস্যা বাড়ে তেমন অন্যদিকে জমা জলে বাড়ে মশার বংশবিস্তার। সাথে মশাবাহিত রোগের প্রাদূর্ভাব বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে।
মশার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অনেকেই বাজারজাত পণ্য ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই সমস্ত পণ্য মশার হাত থেকে বাঁচালেও এগুলি স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই মশা থেকে বাঁচতে বাজারজাত পণ্য নয়, বরং ভরসা রাখতে হবে, প্রাকৃতিক টোটকার ওপর। আজ আপনাদের জানানো হবে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায়, যার সাহায্যে আপনি মশা তাড়াতে হবেন সক্ষম।
(আরও পড়ুন: মারা গিয়েও বেঁচে ফিরলেন ব্যক্তি! ৪৫ মিনিট বন্ধ ছিল শ্বাস, তবুও ঘটল মিরাক্যাল)
নিম তেল: মশা তাড়ানোর জন্য অনেকেই কয়েল অথবা স্প্রে ব্যবহার করেন, কিন্তু এগুলি না ব্যবহার করে যদি নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন তো বটেই, আপনার শরীরের ওপরেও পড়বে না কোনও কুপ্রভাব। নিম তেল ত্বকে লাগালে মশা থাকে ১০০ হাত দূরে।
তুলসী পাতা: মশা তাড়ানোর জন্য অন্যতম সেরা উপায় হল তুলসী গাছ। বাড়িতে যদি তুলসী গাছ থাকে তাহলে মশার উৎপাত থাকে অনেকটাই কম।
লেমন গ্রাস তেল: লেমন গ্রাস তেল প্রতিদিন ব্যবহার করলে ঘরে মশার উপদ্রব কমে যায়। এই তেলের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না তাই বাড়িতে এই তেলের সুগন্ধি ছড়ালে মশার উৎপাত থাকে না।
কর্পূর: শুধু পুজোয় নয়, মশা তাড়ানোর জন্য কর্পূর ভীষণ উপকারী। কর্পূরের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারেনা তাই প্রত্যেকদিন সন্ধ্যেবেলা কর্পূর জ্বালালে মশার উৎপাত কমে যায়। অন্যদিকে কর্পূরের গন্ধে শরীরের কোনও ক্ষতিও হয় না।
(আরও পড়ুন: রাধিকার ফুলের দোপাট্টা পছন্দ হয়েছে? ২০০০ টাকায় বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন আপনিও)
লেবু এবং লবঙ্গ: লেবু লবঙ্গের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না, তাই ঘরের বিভিন্ন কোনায় লেবু এবং লবঙ্গ যদি রেখে দিতে পারেন তাহলে দেখবেন অপেক্ষাকৃত আপনার বাড়িতে মশার উৎপাত কমে গেছে। অনেকটাই।