শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি নিয়ে এখন সচেতনতা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে করোনাকালে এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের ভাবনাচিন্তা অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। এখন রোগ প্রতিরোধ শক্তি চাঙ্গা রাখতে অনেকেই নিয়মিত ভিটামিন খান, স্বাস্থ্যকর খাবার খান। কিন্তু এর পরেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে সেপসিসের মতো সমস্যা।
কী এই সেপসিস?
শরীরে বার বার কোনও ধরনের সংক্রমণ হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি সেই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে। কিন্তু কখনও কখনও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বুঝে উঠতে পারে না কোন প্যাথোজেনটি শরীরে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। তখন ক্ষতিকারক প্যাথোজেনের পাশাপাশি শরীরের নিজের ভালো কোষকেও মারতে থাকে এই রোগ প্রতিরোধ শক্তি। একেই বলা হয় সেপসিস। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন পেশি এবং অঙ্গ। (আরও পড়ুন: জ্বালাযন্ত্রণা দূরে রাখতে রোজ এই ৫টি জিনিস খান, হাতেনাতে ফল পাবেন, বলছে আয়ুর্বেদ)
কোন কোন সমস্যা দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
- জ্বর, ঠাণ্ডালাগা এবং কাঁপুনি
- হৃদযন্ত্রের অত্যন্ত দ্রুত গতি
- শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া
- বিনা কারণে অথিরিক্ত ঘর্মাক্ত ত্বক
- অসহ্য ব্যথা বা অস্বস্তি
- ক্ষতস্থানের চারপাশে লালভাব, ফোলাভাব দেখা দেওয়া বা না সারা
উপরের লক্ষণগুলি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, এই উপসর্গগুলি নানা কারণেই দেখা দিতে পারে। তাই সাবধান হওয়ার জন্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কিন্তু এর পাশাপাশি এমন কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে, যেগুলি সেপসিসেরই উপসর্গ। তেমন কিছু হলে এক মুহূর্ত দেরি করা যাবে না। (আরও পড়ুন: ভাইরাল জ্বর হয়েছিল? গলাব্যথা এখনও কমেনি? কী খেলে সহজে কমবে)
- মাথা ঘোরা-সহ নিম্ন রক্তচাপ
- কম পরিমাণে প্রস্রাব তৈরি হওয়া
- ত্বকের রং হঠাৎ পরিবর্তন
- হঠাৎ করে কোনও বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি হওয়া
- হঠাৎ মৃত্যুর ভয় এবং শ্বাসকষ্ট
- বমি এবং ডায়রিয়ার অনুভূতি
এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে প্রতিটি মুহূর্তই খুব দামি হয়ে যায়। কারণ রোগী সেপসিস শক পর্যন্ত লাগতে পারে। পরিস্থিতি ভয়ানক আকার নিলে অঙ্গহানী এবং জীবনহানীর পর্যন্ত আশঙ্কা থাকে।
কীভাবে আটকানো যায় সেপসিস?
- নিয়ম মেনে ফ্লু এবং নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নেওয়া
- ঘা এবং ক্ষতের দিকে নজর রাখা, সামান্য সমস্যাতেও চিকিৎসককে জানানো
- হাত ধোওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
- কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যাওয়া
এই নিয়মগুলি মেনে চললে সেপসিস আটকানো সম্ভব।