শীতের হোক কিংবা গরমের দুপুর— গরম ভাতের সঙ্গে অল্প পরিমাণে ঘি বা মাখন মিশিয়ে নিলে খিদে যেন আরও বেশি করে বেড়ে যায়। ঘি আর মাখনের সুবাস খাওয়ার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই দুটোই কি সমান স্বাস্থ্যকর? নাকি কোনওটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
ঘি আর মাখন— দুটোই স্নেহপদার্থ। মানে, Fat। এই ফ্যাট শরীরে মেজ জমিয়ে দিতে পারে। তাই ঘি কিংবা মাখন— দুটোই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে পেখেই খাওয়া উচিত। কিন্তু এর বাইরে ঘি এবং মাখন— দুটোরই আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ আছে। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।
ঘিয়ে কী কী রয়েছে:
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
- ভিটামিন A
- ১২৩ ক্যালোরি (এক চামচ ঘিয়ে)
- ৯ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট (এক চামচ ঘিয়ে)
- ৪ গ্রাম মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট (এক চামচ ঘিয়ে)
মাখনে কী কী রয়েছে:
- অল্প ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
- ১০০ ক্যালোরি (এক চামচ মাখনে)
- ৭ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট (এক চামচ ঘিয়ে)
- ৩ গ্রাম মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট (এক চামচ ঘিয়ে)
এবার দেখা যাক, কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর।
তুল্যমূল্যের বিচার মাখনে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। ফলে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য মাখন কিছুটা হলেও বেশি ভালো। কিন্তু মনে রাখা দরকার, দেশি ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A, আর এটির কারণেই ঘি তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাখনের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে থাকবে। কারণ মাখনে এই ভিটামিন থাকে না। তাছাড়া অন্য পুষ্টিগুণও কম।
সব মিলিয়ে বিচার করতে গেলে কিছুটা এগিয়ে থাকবে দেশি ঘি।