সচিত্র ভাষায় ফুটে উঠল ভগবৎ গীতা। ৮৪,৪২৬ ছবির মাধ্যমে ভগবৎ গীতার ৭০০ শ্লোক লিখলেন ছাত্র। বয়স তাঁর মাত্র ১২ বছর। নাম প্রসন্ন কুমার ডিপি। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর স্বরূপ অধ্যয়ন কেন্দ্রের ছাত্র প্রসন্ন। মাত্র ১২ বছর বয়সে একরত্তি প্রসন্নের এমন অনন্য কীর্তি নজর কেড়েছে সারা ভারতের। এই কৃতিত্ব তাঁকে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে স্বীকৃতিও এনে দিয়েছে।
কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার হোলেহোন্নুরের বাসিন্দা প্রসন্ন কুমার ডিপি। জানা গিয়েছে, শিবমোগায় রাষ্ট্রোত্তন বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর, কুমার গত এক বছর আগে উপকূলীয় শহর ম্যাঙ্গালুরুর স্বরূপ অধ্যয়ন কেন্দ্রে যোগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর শিল্প যাত্রা শুরু।
আরও পড়ুন: (Warm Water Side Effects: দিনে খুব বেশি গরম জল পান করা কি ঠিক? খালিপেটে ঈষদুষ্ণ জল পানে কী উপকার হয়! দেখে নিন)
১,৪০০ লাইনে ভগবৎ গীতা
৭০০ টি শ্লোকের সমন্বয়ে গঠিত, এই ভগবদ্গীতা ১৪০০ লাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শুধুমাত্র একটিই বিরাট আকারের হার্ডবোর্ড শীটে ৮৪,৪২৬ ছবিই রয়েছে। এই সচিত্র ভগবদ্গীতা সম্পূর্ণ করার জন্য আড়াই মাস সময় লেগেছে প্রসন্নের। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজ ভারতের রেকর্ডের খাতায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন প্রসন্ন কুমার ডিপি।
আরও পড়ুন: (Beauty Tips: আই ব্রো প্লাগ করলেই ব্রণ হচ্ছে? ঘরে বসেই রেহাই পাবেন, রইল ৫ টিপস)
আরও একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়তে প্রস্তুত প্রসন্ন
নিজের কৃতিত্ব সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, প্রসন্নের দাবি তাঁর সফল প্রচেষ্টা তাঁর একাগ্রতা বাড়িয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠান আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছে। আমাকে শেখার শক্তি দিয়েছে, যা আমার একাগ্রতা এবং আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াতে সাহায্য করেছে। এখন আমি আরও একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়তে প্রস্তুত। ভগবদ্গীতা সংস্কৃত ভাষায়, এবং ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে। আর আমাদের স্বরূপা স্টাইল অনুযায়ী, প্রতিটি ইংরেজি অক্ষরেরই এক-একটি অনন্য প্রতীক রয়েছে। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রবেশ করার জন্য আমার এই কৃতিত্ব নথিভুক্ত করেছি।'
আরও পড়ুন: (Peepal Leaves Tea: কাছে ঘেঁষতে দেয় না ৫ রোগকে! অশ্বত্থ পাতার চা কখন খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার)
প্রসঙ্গত, স্বরূপ অধ্যয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা গোপাদকর এ প্রসঙ্গে জানান, বলেন, অগস্ট মাসে আইবিআর অ্যাচিভার রেকর্ড গড়েছিলেন প্রসন্ন কুমার ডিপি। তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কেন্দ্রের তৈরি করা সচিত্র ভাষা ব্যবহার করে যে কোনও বিষয় মনে রাখা যায়। সচিত্র ভাষা ব্যবহার করেই শিক্ষার্থীরা সহজে যে কোনও বিষয়ের নোট মনে রাখতে পারেন। গোপাদকর নিজ কেন্দ্রের প্রশংসা করে আরও বলেন, স্বরূপায় শিখে, শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে ১০ রেকর্ড অর্জন করেছেন, শিল্পে দক্ষতা অর্জন করেছেন। দশম শ্রেণী অর্থাৎ এসএসএলসি পরীক্ষাতেও ভালো নম্বর নিয়ে এসেছেন।