সম্বন্ধ করে বিয়ে হলে প্রথমেই বেশিরভাগ বাবা মা ছেলে কী চাকরি করে তাই দেখেন। অনেক বাবামা সরকারি চাকুরে পাত্রই খোঁজেন। সেইমতো বিজ্ঞাপনও দেন। ভারতে ভালো সরকারি চাকুরে পাত্রদের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের বাজারে বেশ যোগ্য বলেও মনে করা হয়। তা বলে সরকারি চাকুরে পাত্রীর খোঁজ করছে ছেলে, এমন উলটপুরাণ খুব কমই দেখা যায়। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারায় এক ব্যক্তি সম্প্রতি তেমনটাই করলেন। সরকারি চাকুরে পাত্রী খোঁজার কায়দা ভাইরাল হয়েছে নেটজুড়ে।
ছিন্দওয়ারার চর পাঠক এলাকার বাসিন্দা বিকাশ মালব্য নামের ওই যুবক। সম্প্রতি ফাউন্টেন চক বাজারের মাঝখানে একটি অদ্ভুত পোস্টার নিয়ে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। পোস্টারে লেখা ছিল: 'বিয়ের জন্য সরকারি চাকরি করে এমন পাত্রী চাই। যৌতুক দিতে রাজি আছি!'
প্রসঙ্গত, ১৯৬১ সালের ভারতীয় যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইন অনুযায়ী যৌতুক দেওয়া, যৌতুক দাবি করা বা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এর জন্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপও করা হতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও, লোকটি প্রকাশ্যেই যৌতুক দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছে।
পোস্টার-সহ মালব্যর একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হচ্ছে। সরকারি চাকরি করা পাত্রী খোঁজার জন্য সে এত বেপরোয়া কেন তার কারণটিও অস্পষ্ট। তার ভিডিয়োতে মন্তব্য করে একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন ‘শুধু যৌতুক দিলেই কি হবে স্যর? আপনার স্ত্রীর জন্য আপনাকে টিফিনও তৈরি করে দিতে হবে।’ অন্য একজন বলেন, ‘বেশ মজার চেষ্টা করছেন লোকটি, তবে হাসির ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড ব্যবহার করে মজা করা ঠিক নয়। এটা সমাজের খুবই গুরুতর সমস্যা।' এছাড়াও, আরেকজন বলেন, এমন ঘটনা আগে দেখিনি। তা বলে রাস্তার মাঝে এভাবে!’ অন্য এক টুইটার ব্যবহারকারীর কথায়, 'শেষ পর্যন্ত ছেলেও সরকারি চাকরির চক্করে পড়ল!'
২০২২ সালের জুলাই মাসে, মাদুরাইয়ের ভিলাপুরম থেকে ২৭ বছর বয়সি এমএস জগান তার 'মিস রাইট' খুঁজে পাওয়ার প্রয়াসে নিজের জন্য একটি বৈবাহিক বিজ্ঞাপন পোস্ট করার পরে ভাইরাল হয়েছিলেন। তার অদ্ভুত বৈবাহিক বিজ্ঞাপনে তার তারকা চিহ্ন, পেশা, আয় এবং ঠিকানা লেখা ছিল। এছাড়াও বলা ছিল তার একটি জমিও রয়েছে। সঙ্গে ডেনিম শার্ট পরা নিজের একটি ছবি ছিল তাঁর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup