আর কুড়ি-বাইশ দিন বাকি পুজোর। তারপরই বেজে উঠবে পুজোর বাদ্যি। বছরের এই চারদিনের জন্য সকলেই মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু এই কদিন আনন্দ মজার সঙ্গে ব্যাপক ভাবে পরিবেশ দূষণ ঘটে। প্লাস্টিক, নোংরা, আবর্জনার স্তূপ জড়ো হয় শহরের বুকে। সবাই যখন পুজোর আনন্দে মাতবে তখন কাউকে তো এই শহরকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিতে হবে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। কারা নেবেন সেই উদ্যোগ?
বিগ এফএমের তরফে এবারেও প্রতি বছরের মতো বিগ গ্রিন দুর্গা পুজোর উদ্যোগ নেওয়া হল। বিষয়টা কী ভাবছেন? বলছি। চারদিকে এখন দূষণ বাড়ছে, ইতিউতি জমছে আবর্জনার স্তূপ। এক দেবীর আরাধনায় তো ব্যস্ত হচ্ছি কিন্তু প্রকৃতির খেয়াল কে রাখবে? এই গোটা ধরণী যে আমাদের আরেক দেবী সেটা তো ভুললে চলবে না। এমনই বহু বছর ধরেই আমরা নিজেদের স্বার্থে পরিবেশের ক্ষতি করেছি। কিন্তু এবার আর নয়। পুজোর আনন্দে যখন মাতোয়ারা তখন শহরের অন্যতম জনপ্রিয় রেডিও চ্যানেল নিল এক দারুন উদ্যোগ। প্রতি বছরের মতোই এবারেও তারা বিগ গ্রিন দুর্গাপুজোর আয়োজন করতে চলেছে।
কী হবে এই আয়োজনে? এই উদ্যোগের মাধ্যমে রেডিয়ো চ্যানেলটির টিম আপনার পাড়ায়, স্কুল, কলেজে পৌঁছে যাবে সেখান থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস, ফেলে দেওয়া জিনিস কুড়িয়ে আনবে, এই যেমন পুরনো খবরের কাগজ, পুরনো জামা কাপড়, কাঠ, মাটির জিনিস, ইত্যাদি। একই সঙ্গে সকলকে উৎসাহ দেওয়া জন্য একাধিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। তার পরে এই কুড়িয়ে আনা সমস্ত জিনিস দিয়েই তৈরি করবে মাতৃমূর্তি। পরিবেশকে রক্ষা করে, আরও সবুজ করে তুলে এই মাতৃমূর্তি নির্মিত হবে। আর দেবী মূর্তিই আমাদের আরও এক ধাপ সবুজ, পরিবেশবান্ধব, দূষণ-মুক্ত পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। পৃথিবী যে এতদিন ধরে আমাদের কাছ থেকে সাহায্য চাইছি তাকে দূষণ-মুক্ত করার জন্য সেটা যেন খানিকটা সফল হবে এই উদ্যোগে। দারুন না?
আর এবারের এই উদ্যোগের মুখ হলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। গত দশ বছরের মতো এবারও এই এফএম চ্যানেলের উদ্যোগ চালু হয়ে গিয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে গাড়ি। আনা হচ্ছে পুরনো জিনিস। এই জিনিসগুলো দিয়ে যে মাতৃ মূর্তি তৈরি হবে সেটা রাখা থাকবে সিটি সেন্টার ওয়ানে। যখনই কেউ এই মূর্তি দেখবেন তখনই তাঁরা সচেতন হবেন, জেনে বুঝে আর দূষণ ঘটাবেন না এমনটাই মনে করা হচ্ছে।