বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁঠালের গ্লাইসেমিক সূচক মাঝারি। কাঁঠালে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা পাচন পদ্ধতিকে সামান্য ধীরে গতি সম্পন্ন করে তোলে। ফলে রক্তের শর্কার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার একটা চিন্তা থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে কাঁঠাল যদি ডায়াবেটিস রোগীরা খান তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া উচিত।
1/5বসন্তের রেশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে গরমকাল শুরু হতেই আমের সঙ্গে বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে হাজির থাকে কাঁঠালও। গাছ পাঁঠা এঁচোড় যেমন দুপুরের সাদা ঝরঝরে ভাতের সঙ্গে মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা, তেমনই আবার বাড়িতে কাঁঠাল এলে কোয়া থেকে বীজ ছাড়িয়ে খাওয়ার আনন্দও আলাদা! ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় এই সবুজ কাঁঠালের আটা খুবই উপকারি বলে উঠে আসছে নানান গবেষণায়। কাঁঠালর 'আঠা'র মতোই নজর কাড়ছে কাঁঠালের আটা! দেখা যাক, এর উপকারিতা।
2/5কাঁঠালের উপকারিতা- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁঠালের গ্লাইসেমিক সূচক মাঝারি। কাঁঠালে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা পাচন পদ্ধতিকে সামান্য ধীরে গতি সম্পন্ন করে তোলে। ফলে রক্তের শর্কার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার একটা চিন্তা থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে কাঁঠাল যদি ডায়াবেটিস রোগীরা খান তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া উচিত।
3/5কাঁঠালের ময়দার উপকারিতা- চিকিৎসক বিনোদ আবিচন্দানি বলছেন, ‘সবুজ কাঁঠালের থেকে তৈরি ময়দা মেডিক্যাল নিউট্রিশিয়ান থেরাপিতে পুষ্টির জন্য একটি রত্ন সমান। প্রতিবারের খাবারে চালের গুঁড়ো, কিম্বা আটা, বা ম.দার সঙ্গে ৩০ গ্রাম কাঁঠালের ময়দা মিশিয়ে নিলে তার উপকার ডায়াবেটিস রোগীরা পাবেন তাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে।’
4/5রোজই কি খাওয়া যাবে কাঁঠালের ময়দা? এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক অবিচন্দানি বলছেন, প্রতিদিনই এটি খাওয়া যাবে। এতে ব্লাড সুগারের স্তর ও গ্লাইসেমিক ভ্যারিয়াবিলিটির দিক থেকে মিলবে উপকার।
5/5গবেষণা কী বলছে- ‘নেচার’ এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হচ্ছে, এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কাঁঠালের ময়দা যে রোগীদের দেওয়া হয়েছে ১২ সপ্তাহ পর তাঁদের গ্লাইকোসিলেটেড হিমোগ্লোবিনে কমতি এসেছে, তাঁদের তুলনায় সাধারণ রোগীর জন্য দেওয়া ময়দা খেয়ে ওই স্তর ১২ সপ্তাহ পর রোগীর মধ্যে বেড়েছে। এছাড়াও বলা হচ্ছে, গর্ভবতী বহু মহিলার যাঁদের শর্করার মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ময়দা দারুন কাজের। (প্রতীকী ছবি)