স্ত্রীরোগের অস্ত্রোপচার মানে একটা বড় অংশ জুড়ে কাটাছেঁড়া। সেই কাটা অংশ দিয়ে হাতের সাহায্যে সার্জেন অস্ত্রোপচার করেন। দিন বদলাতে বদলাতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে জায়গা করে নিয়েছে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি। এতে তুলনায় অনেকটাই কম অংশ কাটাছেঁড়া করতে হয়। তার মধ্যে দিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে অস্ত্রোপচার করা হয়।
(আরও পড়ুন: প্রেম করতে চান ‘কুকুর’বেশী এই মানুষ! তবে মানবী প্রেমিকার থাকতে হবে সারমেয় যোগ!)
তবে এসবের থেকেও আধুনিক পদ্ধতি এখন চলে এসেছে চিকিৎসা জগতে। সেই বিশেষ পদ্ধতি অবশ্য প্রভাব ফেলছে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই। চিকিৎসার পাশাপাশি অন্যান্য জগতেও জায়গা করে নিয়েছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তার নাম আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এআই-কে কাজে লাগানো হচ্ছে অস্ত্রোপচারের কাজে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে রোবটকে কাজে লাগানো হচ্ছে এই ব্যবস্থায়। মানুষ নয়, রোবটের হাতেই সম্পন্ন হচ্ছে জটিল থেকে জটিলতর অস্ত্রোপচার। আর কাটাছেঁড়া? সেটাও কমে গিয়েছে দৈর্ঘ্যে।
(আরও পড়ুন: মহিলা বস যৌন নির্যাতন করলে সাজা কী, প্রশ্ন প্রাক্তন PM-র ছেলের, সমর্থন দিলীপের)
সম্প্রতি আইএলএস হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের চিকিৎসক অরুণা তান্তিয়া এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে। কীভাবে এই ধরনের অস্ত্রোপচার হয়, তার একটি রূপরেখা দিলেন তাঁর। অরুণার কথায়, ‘রোবটিক সার্জারি ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির থেকেও অনেক বেশি আধুনিক। খুব সামান্য ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে গোটা অস্ত্রোপচারটি করা হয়। এমনকী পুরোটাই হয় রোবটিক হাতের সাহায্যে। যে হাতের ভুল হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম। এমনকী এই হাত অনেক বিষয়ে মানুষ চিকিৎসকের থেকে বেশি পারদর্শী। যেমন একজন সার্জেনের হাত অনেক অঙ্গের ভিতরে ঠিকমতো পৌঁছাতে পারে না। ফলে কিছুটা খামতি থেকে যায়। সেই খামতিই মিটিয়ে দিতে সক্ষম রোবটের হাত।’
অন্যদিকে ব্যথার নিরিখেও এই চিকিৎসা অনেক এগিয়ে। খুব সামান্য ব্যথা হয় গোটা অস্ত্রোপচারে। এমনকী যে রোবটের মাধ্যমে চিকিৎসা হয়, সেটি ৭২০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে। এর ফলে অনেক জটিল স্থানেই পৌঁছে যেতে পারে রোবট। যেখানে অন্য পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার বেশ জটিল। চিকিৎসকের কথায়, রোবটিক সার্জারির মাধ্যমে সিস্টের অস্ত্রোপচার, জরায়ুর অস্বাভাবিক গঠনের চিকিৎসা অনেকটাই সহজ হয়ে পড়ে। বর্তমানে এই পদ্ধতিতে ক্রনিক পেলভিক ব্যথা, এন্ডোমেট্রিয়োসিস, জরায়ুর ফাইব্রোয়েডের চিকিৎসাও করা হচ্ছে। চিকিৎসায় সাফল্যের হার অন্য চিকিৎসা পদ্ধতির থেকে অনেকটাই বেশি বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।