সব মেয়েই চায় তাদের চুল লম্বা, ঘন ও কালো করতে। কিন্তু কখনও কখনও চুল পড়া শুরু হয় এবং কখনও কখনও মাথার খুশকি এতটাই বেড়ে যায় যে আপনি বিব্রত বোধ করতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে চুল যদি সময়ের আগেই সাদা হতে শুরু করে তাহলে সব চুলই নষ্ট হয়ে যায়। কারণ প্রায়শই মেয়েরা তাদের ধূসর চুল আড়াল করার জন্য চুলের রঙ প্রয়োগ করা শুরু করে এবং তাদের চুলের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট হয়ে যায়। আপনার যদি চুল পড়া, স্প্লিট এন্ড বা অকালে পাকা হওয়ার মতো সমস্যা শুরু হয়ে থাকে, তাহলে সবার আগে এই পুষ্টির ঘাটতি দূর করুন।
চুলে অতিরিক্ত খুশকি
কিছু মানুষের মাথার ত্বকে খুশকির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। আপনার সাথেও যদি এমন হয়। তাই মানে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি আছে। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি দূর করতে কুমড়ার বীজ খাওয়া শুরু করুন। প্রতিদিন এক চামচ খেলে চুলের খুশকির সমস্যা কমবে।
অকালে চুল পাকা হয়ে যাওয়া
যদি ৩০ বছর বয়সে চুল ধূসর হতে শুরু করে, তবে রাসায়নিক রঙ প্রয়োগ করার আগে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দূর করুন। ভিটামিন B12 এর অভাবে চুল অকালে পাকা হয়ে যায়। অতএব, ভিটামিন B12 এর অভাব পূরণ করে এমন খাবার খান বা সম্পূরক গ্রহণ করুন।
স্প্লিট এন্ডের সমস্যা হলে কি করবেন?
চুল যদি নিচ থেকে নষ্ট হয়ে বিভক্ত হয়ে যায় তাহলে তাতে কোনো বৃদ্ধি হয় না। এ ছাড়া চুলের রংও বিগড়ে যায় এবং শুষ্কতা দেখা দিতে থাকে। শরীরে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবের কারণে চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা হয়। এটি কাটিয়ে উঠতে, ভাজা ফ্ল্যাক্সসিডের গুঁড়ো খান। এছাড়াও আপনার খাদ্যতালিকায় শাকসবজি এবং স্যুপ অন্তর্ভুক্ত করুন।
চুল খুব পাতলা হয়ে যাচ্ছে এবং পড়ে যাচ্ছে
চুল খুব পাতলা ও দুর্বল হয়ে গেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। এটি কাটিয়ে উঠতে ডালের সাথে মরিঙ্গা গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
চুলে টাক পড়া
অনেক সময় প্যাচের আদলে চুল পড়া শুরু হয়। এই সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন পরীক্ষা করান। ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির কারণে টাক বাড়ে। এটি এড়াতে রাতের খাবারের পর ব্রাহ্মী চা পান করুন। এটি চুল বাঁচাতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত চুল পড়া
চুল যদি খুব বেশি পড়ে তাহলে সেটা উচ্চ কর্টিসলের কারণে হয়ে থাকে। ক্যামোমিল চায়ে এক চিমটি দারুচিনি মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে পান করুন।