১। নার্স ঘুমন্ত রোগীকে জোর করে ডেকে তুলছেন দেখে চিকিৎসক জিজ্ঞেস করলেন, আরে আরে, করছেন কী? অযথা ঘুমন্ত রোগীকে ডাকছেন কেন?
নার্স মুখ কাঁচুমাচু করে বললেন, ‘স্যার, রোগীর এখন ওষুধ খাওয়ার সময়। না ডাকলে সঠিক সময়ে তাঁর ওষুধ আর খাওয়া হবে না।’
চিকিৎসক রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, তা কী সেই ওষুধ, যেটা তাকে এখনই খাওয়াতে হবে?
‘ঘুমের ওষুধ স্যার’, নার্সের জবাব।
(আরও পড়ুন: উইকেন্ডে হাসি কিন্তু মাস্ট! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর শনিবার সকাল হোক মজার)
২। এক ব্যক্তি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বলল, ‘পাড়ার কুকুরগুলো সারা রাত চিৎকার করে। গত দুই রাত আমার মোটেও ঘুম হচ্ছে না। ঘুমোনোর একটা ব্যবস্থা করে দিন না, স্যার।’
চিকিৎসক একটি ওষুধের নাম লিখে দিয়ে বললেন, ‘একটা ওষুধ লিখে দিলাম, এটা ভালো কাজ করবে। সাত দিন পর এসে দেখা করে যাবেন।’ সাত দিন পর আবারও ব্যক্তি ওই চিকিৎসকের কাছে গেল। তাকে দেখে চিকিৎসক বললেন, ‘কী, এখন নিয়মিত ঘুম হয় তো?’
‘স্যার, অবস্থা তো আগের মতোই।’
‘বলেন কী? ওষুধ ঠিকমতো খাননি?’
‘কী যে বলেন, স্যার! আমি কেন ওষুধ খাব? আমি গত সাত দিন ধরেই কুকুরগুলোকে ওই ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু একটি কুকুরকেও ওষুধ খাওয়াতে পারিনি।’ ব্যক্তির উত্তর।
(আরও পড়ুন: রবিবারে হাসতে হবে কিন্তু! পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, ছুটির দিন আরও একটু মজার হোক)
৩। প্রশ্ন: কখন বুঝবেন, আপনার ইনসমনিয়া (ঘুম না-আসা রোগ) গুরুতর হয়ে উঠেছে?
উত্তর: যখন অফিসের মিটিংয়ে বসেও আপনার ঘুম পাবে না!
(আরও পড়ুন: হাসলে নাকি আয়ু বাড়ে! তাহলে এখনই পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর হাসুন প্রাণভরে)
৪। এক বন্ধু বিবাহিত জীবনে খুব সুখী। আর এক বন্ধু এর রহস্য জানতে চেয়েছে। প্রথম বন্ধু বলছে, তার সব কথা তার স্ত্রী খুব মন দিয়ে শোনে।
দ্বিতীয় বন্ধু: এটা কীভাবে সম্ভব?
প্রথম বন্ধু: তুমি যদি চাও তোমার স্ত্রী তোমার কোনও কথা খুব মন দিয়ে শুনুক, তাহলে ঘুমের ভান করে বিড়বিড় করে সেগুলো বলো।
(আরও পড়ুন: হাসতে হাসতে পেটে খিল! দিনের সেরা ৫ জোকস পড়েছেন? যারা পড়ছে, তাদের হাসি থামছে না)
৫। পলটু এবং উকিলের কথোপকথন।
উকিল: আপনি কেন বিবাহবিচ্ছেদ চাইছেন?
পলটু: প্রতিদিন বউ আমাকে পেঁয়াজ কাটতে, রসুনের খোসা ছাড়াতে এবং বাসন ধুতে বলে। এসব কাজ করতে আমার আর ভালো লাগে না।
উকিল: আর কাপড় ধুতে বলে না?
পলটু: সেটা এখনও বলেনি, তবে ভবিষ্যতে বলতেও পারে।
উকিল: তা এত ঘাবড়াবার কী হল? শুনুন আমার কথা মন দিয়ে! পেঁয়াজকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন! চোখ জ্বালা করবে না! রসুন গরম জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন! খোসা তাড়াতাড়ি ছেড়ে যাবে! বাসনগুলো কিছু সময় সাবান জলে ডুবিয়ে রাখুন! দেখবেন ঝকঝকে হয়ে যাবে!
আর যদি ভবিষ্যতে কাপড় ধুতে হয়, তবে কাপড়গুলোকে অন্তত আধঘণ্টা ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে রাখবেন! পরিশ্রম কম হবে, কাপড়ও পরিষ্কার হয়ে যাবে! এবার বলুন তো আপনি কী বুঝলেন ?
পলটু: বুঝলাম, বাড়িতে আপনার কেসটা আমার চাইতেও খারাপ!!