1/7বর্ষায় অনেকেরই মুখে ঘায়ের সমস্যা হয়। ছোট ছোট ফোস্কার মতো ঘা হতে থাকে মুখের ভিতরে বা মাড়িতে। এর ফলে কোনও কিছু খাওয়া বা দাঁতমাজা কঠিন হয়ে যায়।
2/7বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ঘা খুব এখটা বিপজ্জনক নয়। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটি বড় সমস্য়াও ডেকে আনতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হয়।
3/7কিন্তু এই মুখের ঘা বা ফোস্কা খুব বিপজ্জনক কিছু না হলে, তা ঘরোয়া উপায়ে সামলানো সম্ভব। জেনে নিন, এমনই চারটি ঘরোয়া পদ্ধতি, যেগুলি মুখের ঘা তাড়াতাড়ি সারিয়ে দিতে পারে।
4/7বেকিং সোডা পেস্ট: সমান পরিমাণে বেকিং সোডা এবং জল নিন। এগুলো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখের আলসারে লাগান এবং শুকোতে দিন। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে গার্গেল করুন। এটি দিনে তিনবার করা উচিত। বেকিং সোডা হল সোডিয়াম বাইকার্বোনেট নামক একটি রাসায়নিক যৌগ। এটি মুখের আলসার কমাতে দারুণ কাজ করে। এটি ব্যথাও কমাতে পারে।
5/7নারকেল তেল: ভারতের বেশির ভাগ অংশে নারকেল তেল বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এটি যে মুখের আলসার কমাতে পারে, তা খুব কম মানুষই জানেন। আলসারের উপরিভাগে সামান্য নারকেল তেল লাগিয়ে রেখে দিন। রাতে ঘুমানোর সময়ও লাগাতে পারেন। সকালে ঘা অনেক কমে যাবে।
6/7মধু: মধুর শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী মুখের আলসার নিরাময়ে ভালো কাজ করে। মধু, আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে এবং শুষ্ক হতে বাধা দেয় এবং চুলকানি ও জ্বালা কমায়। কয়েক ফোঁটা মধু লাগান এবং কয়েক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন, মধু দাগ কমায় এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
7/7উষ্ণ জল এবং নুন: এক গ্লাস হালকা গরম জলে এক চা চামচ নুন মিশিয়ে নিন। এবার এই তরল দিয়ে ভালো করে গার্গল করুন। একবার গার্গল হয়ে গেলে, আপনি মুখ থেকে নোনতা স্বাদ তাড়াতে সাধারণ জল দিয়ে গার্গল করতে পারেন। এটি মুখের আলসারের সময় যে ব্যথা এবং অস্বস্তি হয় তা কমাতে পারে।