উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, জেনেটিক ডিসঅর্ডার বা বয়স হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী। তবে কার্ডিওভাসকিউলার রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে, এমন কিছু বিষয় আমাদের চোখ পড়ে না। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী মুখের ভিতরের এমন কিছু লক্ষণ দেখা যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের ওয়ার্নিং সাইনও হতে পারে।
ফোরসিথ ইনস্টিটিউট ও হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিকরা কনডাক্ট জার্নাল অফ পিরিয়োডন্টালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন যে, পিরিয়ডোন্টাইটিসের মোকাবিলা করছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে হৃদরোগের সম্ভাবনা প্রবল। মাড়ি ও ধমনী ফুলে যাওয়ার মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন চিকিৎসকরা, যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা হৃদযন্ত্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য রোগের কারণ হতে পারে।
এই অধ্যয়নের ৩০৪ জন অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের ধমনী মাড়ির টোমোগ্রাফি স্ক্যান করা হয়। চার বছর ফের এঁদের স্ক্যানিং করা হয়, তখন ১৩ জনের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা যায়। গবেষকদের মতে, পিরিয়োডন্টাল ইনফ্লেমেশানে গ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হৃদরোগের আশঙ্কা বেশি হতে পারে।
মুখের এই লক্ষণ উপেক্ষা করবেন না
গবেষকরা জানিয়েছেন যে, পিরিয়োডন্টাল রোগের আগে যে সমস্ত ব্যক্তিদের হাড়ের সমস্যা হচ্ছিল, তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি ছিল না। যে ব্যক্তিদের মাড়িতে ফোলা ভাব ছিল, শুধু মাত্র তাঁদের মধ্যেই এমন সমস্যা রয়েছে। গবেষদের মতে পিরিয়োডন্টাল ইনফ্লেমেশান সংকেত সরবরাহকারী কোষকে সক্রিয় করে, যার ফলে ইনফ্লেমেশানের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
গবেষকদের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, হৃদরোগের প্রতি সংবেদনশীল ব্যক্তিদের পিরিয়োডন্টাল রোগ উপেক্ষা করা উচিত নয়। এর জন্য ডেন্টিস্টের সাহায্য নিতে পারেন। ডেন্টিস্ট আপনার মাড়ি যাচাই করার পর সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।