ভাত, ডাল বা খিচুড়িতে এক চামচ ঘি দিলেই এর স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ। আবার মুরগির মাংস বা খাসির মাংসের ঘি রোস্টও খেতে সুস্বাদু। কিন্তু অনেকেই আছেন যাঁরা ঘি পছন্দ করেন না বা ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় ঘি খেতে চান না। কিন্তু এই ধারণা ভুল। নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি খেলে, তা ওজন বৃদ্ধি করে না। আয়ুর্বেদে ঘিকে সুপারফুডের তকমা দেওয়া হয়। এতে নিরাময়কারী উপাদান বর্তমান। ঘিয়ের পরিবর্তে রিফাইন তেলে তৈরি খাবার খেয়ে থাকি আমরা। আয়ুর্বেদ মতে, এর ফলে আমাদের শরীরের নানান ক্ষতি হতে পারে। সেলিব্রিটি ফিটনেস এক্সপার্ট রুজুতা দিওয়েকার একাধিক বার ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন। এবার ঘি দেওয়া ডাল বা রুটিকে না বলবেন না। কেন খাবেন? জেনে নিন—
১. কমেডিয়ান ভারতী সিং সম্প্রতি নিজের ওয়েটলস ও ট্রান্সফর্মের জন্য শিরোনামে ছিলেন। নিজের ওয়েটলস জার্নি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে ভারতী বলেন যে, এ সময় তিনি বেশি করে ঘি খেয়েছেন। সাম্প্রতিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাঁরাও এখন নিজের খাদ্য তালিকায় ঘি অন্তর্ভূক্ত করছেন। উল্লেখ্য ঘি-তে কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে এবং এটি সহজে হজম করা যায়। ঘি পাচন প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করে, এর ফলে ওজন কম করা সহজ হয় এবং প্রচুর শক্তি লাভ করা যায়। মস্তিষ্কের জন্যও ঘি খুব ভালো।
২. ঘি-তে উপস্থিত ফ্যাট শরীরের পক্ষে উপকারী। আবার শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে, খাবার-দাবারে ঘি মেশানো উচিত। ঘি-তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে।
৩. ঘিয়ে এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল থাকে, যা শরীরকে ভিতর থেকে হিল করে।
৪. আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ঘিয়ে এমন কিছু উপাদান উপস্থিত, যা মুখ উজ্জ্বল করে। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে ঘি খাওয়া উচিত। শীতকালে ঘি শরীরকে গরম রাখে।
কত পরিমাণে ঘি খাওয়া উচিত
নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। হৃদরোগ বা স্থূলতার সমস্যা থাকলে চিকিৎসককে ঘিয়ের পরিমাণ জিজ্ঞেস করে নিন। প্রতিদিন সাধারণত ১০ থেকে ১৫ গ্রাম ফ্যাট খাওয়া উচিত।