শীতের আমেজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আর বাজার সেজে উঠেছে নানা শাক- সবজিতে। কারণ শীতকাল মানেই নানা সবজির সমাহার। আর এই সব সবজির মধ্যে অন্যতম হল টাটকা লাল পালং শাক। এই শাক ভাজা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন, অনেকে আবার লাল পালংয়ের চচ্চড়ি খান। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা এই শাক খুব একটা পছন্দ করেন না এর মেটে গন্ধের জন্য। কিন্তু এই শাকের যে মারাত্মক উপকারিতা রয়েছে তা একবার জানলে, এই শাক না খেয়ে থাকতে পারবেন না। নানা পুষ্টিগুণে ভরা লাল পালং শাক উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা দূর করায় বিরাট কার্যকরী। পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই লাল পালং।
এই শাক দেখতে লাল হয়, রান্না করার পর এর রং আরও বেশি লাল হয়ে যায়। তাই এটি অনেকের কাছে লাল শাক নামেও পরিচিত। তবে এর গুরুত্ব শুধু রঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এই শাক পুষ্টির ভাণ্ডার। অনেক শারীরিক সমস্যার চিকিৎসায় ভেষজের মতো কাজ করে এটি।
আরও পড়ুন: ওজন কমানো থেকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, মুলোর উপকার জানলে আজ থেকেই রাখবেন পাতে
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন লাল শাককে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এতে রয়েছে আয়রন, যা রক্তস্বল্পতার মতো সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা শরীরে প্রদাহ এবং ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করে।
লাল শাকে ভালো পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই সবজি রাখা যেতে পারে। এই সবজি হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
এই লাল পালং শাক ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যও খুবি উপকারী। এতে ক্যালোরি কম থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও লাল শাক হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্ক -সহ শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: ভেজালের মাঝে আসল আদা কী দেখে চিনবেন? বাজারে ঠকতে না হলে দেখে নিন সহজ টিপস
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই লাল শাকটি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। এটি কেবল স্বাস্থ্যের উন্নতিই করে না, বাজারেও এই শাক সহজলভ্য এবং সস্তায় পাওয়া যায়।