শরীর সুস্থ রাখার জন্য সুষম ও স্বাস্থ্যকর আহার অত্যন্ত জরুরি। এর সাহায্যেই ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সম্ভব হয়। কিছু কিছু খাবার আছে, যেগুলো কখনও একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। তবে এর পাশাপাশি এমনও কিছু খাবার রয়েছে, যাদের মিশ্রণ সুপারফুডে পরিণত হয়। এমনই একটি খাবার হল দই এবং কিশমিশ। এই দুটি খাদ্যবস্তুই পৃথক পৃথক ভাবে নানান পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আবার এই দুটি একসঙ্গে মিশিয়ে দিলে এটি সুপারফুডে পরিণত হয়। যা শরীর সুস্থ রাখতে এবং নানান সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। দই ও কিশমিশ স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপযোগী জেনে নিন এখানে—
১. দই-কিশমিশ খারাপ ব্যাক্টিরিয়াকে দুর্বল করে দেয় এবং ভালো ব্যাক্টিরিয়ার বিকাশ ঘটায়। এর পাশাপাশি দই এবং কিশমিশ অন্ত্রের ফোলাভাব কম করে। কারণ দই প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, আবার কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে দ্রাব্য ফাইবার থাকায় এটি প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
২. বিশেষজ্ঞদের মতে দইয়ের মধ্যে কিশমিশ মিশিয়ে খেলে চুল সাদা ও রুক্ষ হয় না।
৩. পিরিয়ডের কারণে ব্যথায় কষ্ট পেলে দই ও কিশমিশের মিশ্রণ খেতে পারেন। পাশাপাশি এর ফলে প্রিমেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোমের মোকাবিলায় সাহায্য পাওয়া যায়। এটি ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা।
৪. একটি বাটিতে পূর্ণ ফ্যাটের গরম দুধে কালো কিশমিশ ও আধ চামচ দই বা ছাছ মিশিয়ে পান করুন। এর ফলে রুক্ষ ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। পাশাপাশি ত্বকে চুলকানির সমস্যা থাকলে, তা-ও এর প্রভাবে দূর হয়।
৫. দই ও কিশমিশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। হাড় ও জয়েন্ট মজবুত করতে সাহায্য করে দই ও কিশমিশ। পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেও সহায়ক এই কম্বিনেশন।