এখন মাত্র ছয় মাসের মধ্যে যক্ষ্মার কার্যকর চিকিৎসা সম্ভব হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট যক্ষ্মা (MDR-TB) চিকিত্সার একটি নতুন পদ্ধতি অনুমোদন করেছে। এই চিকিৎসাটি প্রিটোম্যানিড নামক একটি নতুন টিবি-বিরোধী ওষুধের মাধ্যমে করা হবে। বেডাকুইলিন এবং লাইনজোলিড জাতীয় ওষুধ একত্রিত করে এটি করা হবে। মক্সিফ্লক্সাসিন সেখানে থাকতেও পারে বা নাও থাকতে পারে।
ভারতে ৭৫ হাজার এমডিআর-টিবি রোগী এই চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে উপকৃত হতে পারবেন। বর্তমানে, MDR-TB-এর প্রচলিত চিকিৎসা ২০ মাস ধরে চলে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির (এনটিইপি) অধীনে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার জন্য তাই এবার অত্যন্ত কার্যকর চিকিত্সা ‘বিপিএএলএম’অনুমোদন করেছে। ‘BPALM’ পদ্ধতিতে চারটি ওষুধ রয়েছে। প্রিটোম্যানিড, বেডাকুইলিন এবং লাইনজোলিড এবং মক্সিফ্লক্সাসিন।
এটি আগের এমডিআর-টিবি চিকিত্সা পদ্ধতির চেয়ে নিরাপদ এবং আরও কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। ‘প্রিটোম্যানিড’ ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) দ্বারা ভারতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়েছে। BPALM পদ্ধতি বেশ কার্যকর। এটি মাত্র ছয় মাসে এমডিআর-টিবি নিরাময় করতে পারে। স্বাস্থ্য গবেষণা অধিদফতরের সঙ্গে আলোচনার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ যক্ষ্মার এই নতুন চিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছে।
২০২৫ সালের মধ্যে ভারত টিবি মুক্ত হবে বলে আশা রাখছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এবং তার পিছনে ভূমিকা থাকতে পারে নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতির। অনুমোদিত হওয়ার আগে, এই চিকিত্সাটি সারা দেশের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। ফলে অনেকেই মনে করছেন, এটি ভারতকে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে।