Paracetamol Side Effects: জ্বর বা সর্দি-কাশি হলেই অনেকে ভরসা রাখেন প্যারাসিটামলে। এই বিশেষ ওষুধটি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি অতীতকালে। কিন্তু তারপরেও প্যারাসিটামল কেনা বা খাওয়ার প্রবণতা এক বিন্দুও কমেনি। এমনকি কোভিডের সময় অনেকে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্যারাসিটামল খাওয়া শুরু করেছিলেন।সেই সময় চিকিৎসকদের একাংশ সতর্ক করেন, এই ওষুধের নানা ক্ষতিকর দিক নিয়ে। সম্প্রতি এক গবেষণায় ফের সেই সতর্কবার্তাই উঠে এল। জানা গেল ওষুধটির আরও কিছু ক্ষতিকর দিক। গবেষকদের দাবি, বয়স্কদের শরীরে, মারাত্মক প্রভাব ফেলছে প্যারাসিটামল। ওষুধটির জেরে হার্টসহ বেশ কিছু অঙ্গের বিপদ ঘটছে বলে দাবি করছেন গবেষকরা।
কী কী বিপদের আশঙ্কা?
প্যারাসিটামল নিয়মিত দীর্ঘদিন ধরে খেতে থাকলে নিচের সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এই সমস্যাগুলি বয়স্কদের বেশি হতে পারে বলে দাবি তাঁদের।
- পৌষ্টিকনালির ক্ষতি তথা পাকস্থলি, খাদ্যনালি ও অন্ত্রের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
- কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ অর্থাৎ রক্তচাপজনিত রোগ ও হার্টের সমস্যাও ঘটাতে পারে দীর্ঘদিনের প্যারাসিটামল-প্রেম।
- রেনাল প্রবলেম অর্থাৎ কিডনি ও মূত্রনালির ক্ষতিও ঘটাতে পারে। সাধারণত এই বিপদের কথা চিকিৎসকরা বেশি করে বলে থাকেন। যদিও আগের বিপদগুলির আশঙ্কা যথেষ্ট বেশি বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
- আর্থারাইটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চে প্রকাশিত ওই গবেষণা জানাচ্ছে, বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে অস্টিয়োআর্থারাইটিসও ঘটাতে পারে প্যারাসিটামল। গবেষণায় অন্তত তেমনটাই দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - এক মাসে ৫ কেজি ঝরবে! উধাও হবে মারণরোগ, সকালে এভাবে খান এক কোয়া রসুন
কোন বয়সের মানুষদের বিপদ বেশি?
গবেষকদের কথায়, ৬৫ বা তার বেশি বয়স্কদের মধ্যে গুরুতর প্রভাব ফেলে প্যারাসিটামল। তাই ৬৫ বছর বয়স পেরোলে প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া খাওয়া যাবে না। একান্ত খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন - শীত পড়লেই বাড়ে পেটের এসব সমস্যা, কীসে রেহাই? ঘরোয়া ‘ওষুধ’ বলে দিলেন চিকিৎসক
প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে কী করণীয়
- জ্বর, সর্দি-কাশি হলেই প্য়ারাসিটামলের উপর ভরসা করা কমাতে হবে। অনেক সময় ঘরোয়াটোটকা এইসব ব্যাপারে বেশ কার্যকরী। প্রথমে সেগুলির উপর ভরসা রাখতে পারেন।
- একান্তই ওষুধ খেতে হবে মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক বললে তবেই প্যারাসিটামল খান। মনমতো না খেয়ে ডোজ ও সময় মেনে খান। আগে থেকে কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে তা চিকিৎসককে জানান। সেইমতো ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেবেন চিকিৎসক।