৭১ শতাংশ কর্মচারী, নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসার খরচ বহন করেন। প্লাম কোম্পানি 'হেলথ রিপোর্ট অফ কর্পোরেট ইন্ডিয়া' থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের শহরাঞ্চলে, একজন ডাক্তার দেখাতে গড় খরচ হয় ৩০০ টাকা। কোনও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর জন্য ১,০০০ টাকা লাগে। আবার মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য প্রয়োজন পড়ে ২৫,০০০ টাকা। স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা হেলথ চেকআপ করার গড় খরচ ১,৫০০ টাকা এবং ল্যাব টেস্টের খরচ তো ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়।
আরও পড়ুন: (Video of IIT Kanpur: লুকিয়ে ক্লাসে ঢোকার চেষ্টা, উঠল হাসির রোল, ভাইরাল আইআইটি কানপুরের ভিডিয়ো)
স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে
২০১৮ এবং ২০২৪ অর্থবছরের মধ্যে, স্বাস্থ্যের উপর ভারতের ব্যয় প্রতি বছর গড়ে ১৫.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে জিডিপির ১.৪ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালে ১.৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য ব্যয়৷ ২০২৪ সালে ইতিমধ্যেই, দেশটি স্বাস্থ্যখাতে ৫.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যা ২০১৮ সালে ছিল মাত্র ২.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা উপরন্তু, ২০২৩-২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা এটাও দেখায় যে স্বাস্থ্যের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার ব্যয় ২০১৫ সালে ছিল ৫.৭ শতাংশ ২০২০ সালে তা বেড়ে ৯.৩ শতাংশ হয়েছে।
এশিয়ান দেশগুলির মধ্যে, ভারতের চিকিৎসাখাতে মূল্যস্ফীতির হার সবচেয়ে বেশি। দেখা গিয়েছে যে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ চিকিৎসা মূল্যস্ফীতির হার ছিল, ১৪ শতাংশ। সে তুলনায় চিনে ছিল দুই শতাংশ কম ১২ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ায় ছিল ১০ শতাংশ, ভিয়েতনামেও ছিল একই, ১০ শতাংশ এবং ফিলিপাইনের মূল্যস্ফীতির হার ছিল আরও কিছুটা কম, ৯ শতাংশের আশেপাশে।
আরও পড়ুন: (Viral: বৃষ্টিতে যানজটে আটকে জোমাটোতে অর্ডার ব্যক্তির, ডেলিভারি বয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল)
স্বাস্থ্যবিমা দাবি করতে গেলে অসুবিধার শেষ নেই
প্লামের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের নিয়োগকর্তারা কোম্পানির নিয়ম মতো, কর্মচারীদের জন্য যে মেডিক্যাল ইন্সুয়ারেন্স বা স্বাস্থ্য বিমা স্পনসর করে থাকেন, সেই বিমার কভারেজ একেবারেই ভালো বলা যায় না। এর মানে হল যে কোম্পানিগুলি তাদের কর্মচারীদের যে বিমা প্রদান করে তা একেবারেই সঠিক নয়।
নীতি আয়োগ-এর রিপোর্ট, ভারতের স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থায় বড় খামতি রয়েছে। জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ, নাগরিকের সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবার পান না। এমনকি যাঁদের বিমা আছে, তাঁরাও যে খুব একটা লাভবান হন, তা একেবারেই নয়।
লোকালসার্কেলস-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ৫২ শতাংশ নাগরিক, যাদের বিমা করা আছে, গত বছরে তাঁদের প্রিমিয়াম ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপরন্তু, ৪৩ শতাংশ নাগরিক, যাঁরা গত তিন বছরে বিমা দাবি করেছেন, অনুমোদন পেতে বেশ খানিকটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁদের।