বিশ্বজুড়ে বহু মানুষই একটা বয়সের পর হার্টের সমস্যায় ভোগেন। একদিন-দুইদিন নয়, বছরের পর বছর অনিয়মের জেরে হার্টের ক্ষতি হয়। এরপর হঠাত্ই গুরুতর উপসর্গ দেখা দেয়।
তাই সময় থাকতেই একটু নিয়ম মেনে চলুন। দীর্ঘমেয়াদে হার্ট ভাল থাকবে। অনেক বড়সড় কষ্ট এবং খরচ থেকেও মুক্তি পাবেন। এর জন্য দৈনন্দিন জীবনে আনতে হবে সামান্য কিছু পরিবর্তন।
কী সেই পরিবর্তন? খুবই সহজ। নিচে রইল দীর্ঘমেয়াদে হার্ট ভালো রাখার জন্য ৭ টি টিপস :
১. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন। দৌড়, ওয়েট ট্রেনিং, সাঁতারের মতো হাই ইনটেনসিটি করতে পারলে খুবই ভালো। সেটা সম্ভব না হলে অন্তত ৩০ মিনিট খুব জোরে হাঁটুন। মোটমাট রোজ ৩০ মিনিট করে যেন হার্টবিট বাড়িয়ে তোলা যায়।
২. পরিমিত ও সুষম খাওয়াদাওয়া করুন। অনেক দামী দামী খাবার খেতে হবে, এমনটা কিন্তু নয়। প্রতিদিনের আহারে নির্দিষ্ট পরিমাণে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের ভারসাম্য রাখুন। চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফ্রাই করা খাবার মাসে ২-৩দিনের বেশি খাবেন না। রোজ অন্তত ১-২টি করে যে কোনও মরশুমি ফল খান।
৩. মন খুশি রাখুন। মজার সিনেমা দেখুন, বই পড়ুন। কাজের স্ট্রেস বাড়িতে আনবেন না। চেষ্টা করুন ধ্যান করার। একদিনেই উপকার হয় তো পাবেন না। কিন্তু ১ মাস করে দেখুন। নিজেই টের পাবেন।
৪. একটানা শুয়ে-বসে থাকবেন না। চেয়ারে বসে কাজ করলে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর উঠে পড়ুন। ঘরের মধ্যেই হালকা পায়চারি করুন। জল পান করুন। তারপর আবার কাজে বসুন। অফিসে লিফটের বদলে মাঝেমাঝে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। স্থুলত্বের বাহ্যিক রূপ নিয়েই সমাজে বেশি আলোচনা হয়। কিন্তু স্থুলত্ব অনেক বেশি মারাত্মক। ওজন বেশি হলে হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
৬. ঘুমের সঙ্গে আপোষ করবেন না। রোজ অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৭. মদ্যপান, ধূমপান ছেড়ে দিন।
তাহলে আরও একবার, দেখে নিন, হার্ট ভাল রাখার ৭টি টিপস:
১. প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম।
২. পরিমিত সুষম আহার।
৩. মন খুশি রাখুন।
৪. অ্যাকটিভ থাকুন।
৫. ওজন কমান।
৬. পর্যাপ্ত ঘুম।
৭. মদ্যপান, ধূমপান বর্জন।
এই নিয়মগুলি রোজ মেনে চলুন। দীর্ঘমেয়াদে নিজেই এর উপকারিতা টের পাবেন। টিপসগুলি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে।