সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেকের খাবার ও পানীয়ের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন অতিরিক্ত সতর্কতা। ডায়াবেটিস আছে এমন ব্যক্তিদের সকালের খাবার প্লেটে এই জিনিসগুলি দিতে পারেন। আসুন জেনে নিই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্রেকফাস্টে কী খাওয়া উচিত এবং কী উচিত নয়।
পুষ্টিবিদ বরুণ কাত্যালের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের সকালের জলখাবারে চিনি বা সাধারণ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। সাদা চিনি, প্যাকেটজাত জুস, ফলের জুস, সাদা ব্রেড, চিনিযুক্ত খাবার নৈব নৈব চ। কর্নফ্লেক্স, পেস্ট্রি এবং প্যানকেক, চকলেট স্প্রেড এবং জ্যাম, প্যাকেজ করা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়াতে পারেআরও পড়ুন : ডায়াবেটিস নিয়ে এই ১০ ভুল ধারণা আছে কি আপনার? সতর্ক না থাকলে হিতে-বিপরীত হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের সকালের চা বা কফি পান না করাই ভাল। তাছাড়া তাজা হোক বা প্যাকেটজাত, জুস একেবারেই চলবে না। গোটা ফল খেতে পারেন। সাদা ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি খাবেন না। বরং আটার রুটি খান। মিষ্টি জিনিস যেমন চকোলেট, পেস্ট্রি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, কেক ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
ডায়াবেটিক পেশেন্টরা সকালে বার্লি খেতে পারেন। ওটসের তুলনায় বার্লিতে দ্বিগুণ প্রোটিন এবং অর্ধেক ক্যালরি রয়েছে। এছাড়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বার্লি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
ওটস-ও খেতে পারেন ব্রেকফাস্টে। মশালা ওটস বা চিনি ছাড়া ওটস বানিয়ে খেতে পারেন। তবে যা-ই খাবেন, সীমিত মাত্রায়।
সকালে ডিম খেতে পারেন। ডিম সেদ্ধ, ভাজা ইত্যাদি খেতেও মজা। ভরপুর প্রোটিন ও উপকারি ফ্যাট, ভিটামিন পাবেন।
সকালে আখরোট বা আমন্ড বাদাম খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করার মাত্রা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে কাঁচা বাদাম হতে হবে। ৫-৬টির বেশি নয়। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য প্রতিদিন কিছু মরশুমি ফল খেতে পারেন। তবে বেশি মিষ্টি এমন ফলগুলি এড়িয়ে চলবেন।