এলাচকে শুধু মশলার রানী বলা হয় না, এর চমৎকার সুগন্ধ ও গন্ধের পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। সাধারণত লোকেরা এটি চায়ে যোগ করে বা মুখের ফ্রেশনার হিসাবে ব্যবহার করে। তবে এর দ্বিগুণ উপকারিতা পেতে আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এলাচের দুধ খেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে শুধু দুধ ফুটিয়ে তাতে দুই থেকে তিনটি এলাচ দিতে হবে। এই দুধ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে রান্না করুন এবং হালকা গরম হলে পান করুন। প্রতিদিন এলাচের সাথে এই সুস্বাদু দুধ পান করার আশ্চর্যজনক উপকারিতা রয়েছে। আজ আমরা এগুলো সম্পর্কে জানবো।
হজমশক্তি বাড়ে
আজকাল, খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে, প্রত্যেকেই সাধারণত হজম সংক্রান্ত কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার পেট পুরোপুরি ভালো রাখতে এলাচের দুধকে আপনার প্রতিদিনের খাবারের অংশ করে নিতে পারেন। আপনার যদি পেট সংক্রান্ত সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, বদহজম, সঠিকভাবে পেট পরিষ্কার না হওয়া বা পেট ফাঁপা, তাহলে এলাচের দুধ আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। এটি পরিপাকতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপের সমস্যা আজকাল বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরে আরও নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, সঠিক খাওয়া এবং ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ ছাড়াও, আপনি আপনার ডায়েটে এলাচ দুধও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এলাচের দুধ পান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে।
হাড় শক্তিশালী করে
আমরা সবাই জানি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। কিন্তু আপনি যখন দুধের সাথে এলাচ যোগ করেন, তখন এটি আরও কার্যকর হয়। আসলে এলাচের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে ছোট শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এলাচের দুধ অমৃতের থেকে কম নয়।
স্ট্রেস কমায়
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এলাচের সাথে হালকা গরম দুধ পান করা দিনের সমস্ত ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ দূর করতেও অনেক সাহায্য করে। এতে মন শান্ত ও চাপমুক্ত থাকে। আসলে, এলাচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মানসিক চাপ কমাতে খুবই সহায়ক। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে অবশ্যই এলাচের দুধ খেয়ে দেখুন। এটি আপনাকে দ্রুত এবং ভাল ঘুমাতে সাহায্য করবে।
সর্দি-কাশি দূরে রাখে
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে, বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায়, সর্দি-কাশির মতো অনেক মরসুমি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই সময়ে রাতে গরম এলাচ দুধ পান করা খুবই উপকারী। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং এই ছোটখাটো সমস্যাগুলোকে দূরে রাখে। এলাচের দুধ বুকে জমে থাকা কফ দূর করতেও সহায়ক। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের অবশ্যই শীতকালে এলাচের সঙ্গে দুধ খাওয়াতে হবে।