শরীরে প্রোটিনের অভাব দূর করার জন্য বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু অনেক বাচ্চাদেরই ডিমের কারণে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ডিম খেলে অ্যালার্জি হয় অনেক বাচ্চার। বাচ্চাদের ডিমে অ্যালার্জি রয়েছে কিনা, তা কীভাবে বুঝবেন? আবার ডিমের পরিবর্তে কোন খাবার তালিকাভুক্ত করা উচিত, সে বিষয়ও এখানে আলোচনা করা হল।
ডিম থেকে কীভাবে অ্যালার্জি হয়?
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ডিমে উপস্থিত প্রোটিনের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকলে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। আসলে কিছু কিছু ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ডিমে উপস্থিত প্রোটিনকে ফরেন সাবস্টেন্স (যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর) হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। ফলে সেটি নষ্ট করার জন্য শরীর নানা রাসায়নিক নিঃসৃত করে। এই রাসায়নিকই অ্যালার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ডিমের কারণে হয়ে থাকা অ্যালার্জির লক্ষণ
- মুখ ফুলে যাওয়া
- মুখ লাল হওয়া
- ত্বকে এক্সিমা
- পিত্ত বা ফোলাভাব
- পেটে ব্যথা
- গা গোলানো
- ডাইরিয়া
- বমি
- শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় ঘরঘর শব্দ হওয়া
- শ্বাসকষ্ট
- নাক থেকে জল পড়া
- হৃদগতি বেড়ে যাওয়া
- কান বা গলা চুলকানো
আপনার সন্তানের ডিমে অ্যালার্জি থাকলে, তা দেবেন না। এর পরিবর্তে যে খাবারগুলি খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবেন, তা হল—
সোয়াবিন- সোয়াবিনকে প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস মনে করা হয়। ডিমে অ্যালার্জি থাকলে সোয়াবিন খেতে পারেন। এতে উপস্থিত মিনারেল, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন এ-সহ নানান স্বাস্থ্যোপযোগী উপাদান থাকে, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।
ব্রকোলি- ব্রকোলিতে উপস্থিত প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি-সহ নানান পুষ্টিকর উপাদান উপস্থিত থাকে। এগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত লাভজনক।
চিনাবাদাম- এটি আয়রন, নিয়াসিন, ফোলেট, ক্যালশিয়াম ও জিঙ্কের ভালো উৎস।
কুমড়োর বীজ- কুমড়োর বীজে উপস্থিত ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যানেশিয়াম, জিঙ্ক ও প্রোটিন নানান রোগ থেকে মোকাবিলা করার শক্তি জোগায়। তাই ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কুমড়োর বীজ খেতে পারেন।
আমন্ড- এই শুকনো ফলে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে নিরাপত্তা প্রদান করে। ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন উপাদান নষ্ট করে এটি। আমন্ডেক খোসাও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরে পুষ্টি জোগায়।