বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, আয়রন বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে সাধারণ পুষ্টির ঘাটতি। যা পূরণ করাই সবচেয়ে জরুরি। আয়রনের অভাবে নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। ক্লান্তি, দুর্বলতা, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, মানসিক বিকাশে যেমন শেখার ক্ষমতার উপর প্রভাব এবং মস্তিষ্কে অসুবিধা সংকোচনের মুখোমুখি হতে হয়। সেই সঙ্গে হাত-পায়ের নখ খুব পাতলা ও দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও, পায়ে অস্বস্তিও রক্তের অভাবের কারণে ঘটে। আয়ুর্বেদে এমন খাবারের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে যা শরীরে রক্তের অভাব পূরণ করে, যা আয়রনের মাত্রা বাড়ায়। জেনে নিন এমন তিনটি বিশেষ খাবার যা আয়রনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
কালো তিল
রক্ত ক্ষয়ের সবচেয়ে ভালো উৎস। যা শুধু শরীরে আয়রনের মাত্রাই বাড়ায় না, সেই সঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন বি৬, ই এবং ফোলেট। প্রতিদিন কালোজিরা তিল ভাজা করে খেলে পুষ্টির ঘাটতি কমে।
গুড় এবং ছোলার
গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। যা শরীরে রক্তের অভাব পূরণ করে। ছোলা প্রোটিন, ফাইবার এবং ম্যাঙ্গানিজের পাশাপাশি আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস। এই দুটো জিনিস একসঙ্গে মিশে গেলে খালি পেটে খান। তাই এটি শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সর্বোত্তম উৎস। এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। যখন এর সঙ্গে মধু ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে হবে। তাই শুধু হজমেই সাহায্য করে না। বরং আয়রনও শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। আয়ুর্বেদ মতে, এটি সহজেই শরীরে শোষিত হয় এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয়।