সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আজ, মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু করে মল, অফিস এবং আবাসিক সোসাইটিতে, লোকেরা এক তলা থেকে অন্য ফ্লোরে যাওয়ার জন্য লিফট ব্যবহার করে। যদিও লিফটের ব্যবহার আজকাল মানুষের মধ্যে সময় এবং শক্তি বাঁচাতে খুব সাধারণ, তবুও সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে উঠলে হৃদরোগের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত সিঁড়ি ওঠা ও নামাও ওজন কমাতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন 15 মিনিট সিঁড়ি বেয়ে আমরা কী কী আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য সুবিধা পাই।
প্রতিদিন 15 মিনিট সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সুবিধা
ওজন হ্রাস
সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় শরীরের পেশী সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ক্যালরিও দ্রুত পুড়ে যায়। প্রতিদিন ১৫ মিনিটের জন্য সিঁড়ি বেয়ে উঠা একজন ব্যক্তির শরীরকে অ্যারোবিক ব্যায়ামের মতো উপকার দেয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
শক্তিশালী পেশী
সিঁড়ি বেয়ে ওঠা উরু, পা, পেট এবং নিতম্বের পেশী শক্তিশালী করে। যার কারণে শরীরের এই অঙ্গগুলির পেশীগুলি টোন হয়ে যায় এবং তাদের শক্তিও বৃদ্ধি পায়। সিঁড়ি আরোহণ শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা পড়ে যাওয়া এবং মচকে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
সিঁড়ি বেয়ে উঠলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আসুন আমরা আপনাকে বলি, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়, যা হার্টকে সুস্থ রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে কিছুটা হলেও ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে রক্ষা করে।
জয়েন্টগুলির জন্য উপকারী
সিঁড়ি বেয়ে উঠার ফলে জয়েন্টগুলোতে ব্যায়াম হয়। আপনি যদি জয়েন্টে ব্যথার অভিযোগ করতে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন 10 মিনিটের জন্য সিঁড়ি বেয়ে উঠা এবং নামতে শুরু করুন। আসুন আমরা আপনাকে বলি, প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং নামাও বাতের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।
মানসিক চাপ চলে যায়
সিঁড়ি আরোহণ শুধুমাত্র আপনার শারীরিক কার্যকলাপের জন্যই ভালো নয়, এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং নামা একজন ব্যক্তির মানসিক চাপ কমায়। আমরা আপনাকে বলি, সিঁড়ি বেয়ে উঠলে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মেজাজ উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমায়। এ ছাড়া সিঁড়ি বেয়ে ওঠা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়।