বয়স বাড়লে নাকি বুদ্ধি ভোঁতা হয়ে আসে। মাথা সবসময় ঠিকমতো কাজ করে না। এমনকী ছোটখাটো কাজেও নানারকম ভুল হতে থাকে। এর জন্য আশেপাশের মানুষজনের কাছে গুরুত্বও কমতে থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পাশাপাশি যেন বুদ্ধিও বুড়িয়ে যেতে থাকে। আসলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে গেলে এমনটা হতে শুরু করে। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, বয়স বাড়লেও বুদ্ধি চাঙ্গা রাখা যায়। ভোঁতা হয়ে যাওয়া সহজেই আটকানো যেতে পারে। এর জন্য রোজকার জীবনযাপনে কিছু বদল আনা জরুরি। কিছু টোটকা মেনে চলতে পারলে বুদ্ধি থাকলে চাঙ্গা আর তীক্ষ্ণ। পাশাপাশি কাজে ভুল হওয়ার প্রবণতাও অনেকটা কমে যায়।
সম্প্রতি বিখ্যাত মস্তিষ্ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মার্ক মিলস্টেন তার রোজকার রুটিনের কথা ভাগ করে নেন সবার সঙ্গে। সংবাদ সংস্থা সিএনবিসিতে প্রকাশিত তাঁর লেখাতেই সে কথা জানান তিনি। তাঁর কথায়, মস্তিষ্কের ৭০ ভাগ জল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই জল কমতে থাকে। এতেই বাড়ে সমস্যা। তাই নিয়মিত জল খান তিনি। কফির বদলে সারাদিন ভরসা রাখেন জলে। এছাড়াও খাওয়াদাওয়ার আগে রোজ ১০ মিনিট করে হাঁটাহাটি করেন এই বিখ্যাত চিকিৎসক।
তার সকালের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে বেশি। সাধারণত সকালের জলখাবারে ডিম, সবুজ শাকসবজি, গ্ৰিক ইয়োগার্ট, বেরি ও বাদাম থাকে।
তাঁর কথায়, সকালের দিকে মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি চাঙ্গা থাকে। তাই এই সময় যতরকম চ্যালেঞ্জিং ও উদ্ভাবনী কাজ রয়েছে, সেগুলি সেরে নেন মার্ক। এছাড়াও প্রতি তিরাশ মিনাট অন্তর একবার করে দুই মিনিটের বিরতিও নেন এই প্রবীণ।
তাঁর মতে, বয়স বেশি হলেও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়, যদি নিজের পছন্দ অপছন্দকেও একটু গুরুত্ব দেওয়া যায়। মার্ক রোজ সকালে তার ছেলেমেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসেন। যাওয়ার পথটুকু নিজেই গাড়ি চালান। এছাড়াও বাড়ি ফিরে সুইমিংপুলে কিছুক্ষণ সময় কাটে তাঁর। এই কাজগুলি মস্তিষ্কের কগনিটিভ কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এর পাশাপাশি যত সামাজিক মেলামেশা বাড়বে, মস্তিষ্ক তত ভালো থাকে। এর জন্য নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মার্ক। তাঁর কথায় সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও পরিবারের সব সদস্য মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। এতে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup