নানা কারণে কমে যেতে পারে পুরুষের যৌনক্ষমতা। একই সঙ্গে কমে যেতে পারে দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গম করার ক্ষমতাও। কিন্তু সুস্থ যৌন জীবনের জন্য এটি খুবই দরকারি। কী করে এই সমস্যা কমাবেন?
শরীরচর্চার অভাব, এক জায়গায় বসে কাজ, খাবারদাবার নিয়ে অনিয়ম— নানা কারণে কমে যেতে পারে যৌনক্ষমতা। আর তার প্রভাব পড়ে প্রেম এবং বৈবাহিক সম্পর্কে। বিশেষত শারীরিক সম্পর্কের সময়ে যদি কোনও একজনের তাড়াতাড়ি অর্গাজম হয়ে যায়, তাহলে অন্য জনের ক্ষেত্রে তা অসুবিধার হতে পারে।
প্রেম এবং বৈবাহিক সম্পর্কে সুস্বাস্থ্যের জন্য তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখতেই হয়। অনেক পুরুষেরই খুব তাড়াতাড়ি অর্গামজম হয়ে যেতে পারে। তার পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। যদিও এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা মোটেই খুব কঠিন কাজ নয়।
এই সমস্যা সামলাতে কী কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? রইল ৫টি রাস্তা।
কেগেল এক্সারসাইজ: মেঝেতে চিৎ হয়ে শুয়ে পিঠ এবং দুই পায়ের উপর ভর দিয়ে কোমরটি উপর দিকে তুলুন। একে কেজেল এক্সারসাইজ বলে। এতে পেলভিক পেশির জোর বাড়ে। শীঘ্র পতনের সমস্যা কমে।
কেগেল এক্সারসাইজ
দীর্ঘ ক্ষণ ধরে শারীরিক সঙ্গ উপভোগ করুন: পুরোদস্তুর সঙ্গম করার আগে পরস্পরের শারীরিক সম্পর্ক উপভোগ করুন। ইংরেজিতে যাকে বলে ফোরপ্লে, সেই কাজে সময় কাটান। তাতে দীর্ঘ ক্ষণ স্থায়ী হতে পারে যৌনসম্পর্ক।
হস্তমৈথুন করুন: অনেকের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি সঙ্গমকালের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গমের ঠিক আগে একবার হস্তমৈথুন করে নিতে পারেন। তাতে সঙ্গমের সময়ে দীর্ঘ ক্ষণ অর্গাজম ঠেকিয়ে রাতে পারবেন।
আয়ুর্বেদে এই সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েকটি রাস্তা বলা হয়েছে। রইল তেমন দু’টি পরামর্শ।
ভেষজ: কয়েকটি ভেষজ নিয়মিত সেবন করলে এই সমস্যা কমতে পারে। এমনই বলছে আয়ুর্বেদ। অশ্বগন্ধা, বালা এবং বিদরি সমান ভাগে মিশিয়ে গরম দুধের সঙ্গে খেলে অনেকটা লাভ পাওয়া যায়। তবে এটি খাওয়ার আগে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
কেশর এবং দুধ: আয়ুর্বেদে এই সমস্যার সমাধানে দুধ এবং কেশরের মিশ্রণকে খুব কার্যকর মনে করা হয়। এছাড়া রাতে বাদাম ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে গরম দুধের সঙ্গে সেই বাদাম মিশ্রিত করে খেলেও উপকার পেতে পারেন। এর সঙ্গে এলাচ এবং আদাও মিশিয়ে নিতে পারেন।