হার্ট অ্যাটাক এমন একটি অবস্থা যার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি খুব বেশি। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল নিম্নমানের জীবনযাত্রা। জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের কারণে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ, যার ৮৫ শতাংশই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের। অতএব, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি সনাক্ত করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে পৌঁছানো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: চা খেলেই কমবে ওজন! এক চুমুকেই মেদ ঝরবে ঝটপট, কীভাবে বানাবেন এই চা
হার্ট অ্যাটাক এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলি সঠিকভাবে রক্তে পৌঁছয় না, যার কারণে মানুষের মৃত্যু হয়। রক্তে ব্লকেজের সর্বাধিক সাধারণ কারণ হল ধমনীতে বাধা। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ধমনীগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং সঠিক পরিমাণে রক্ত হৃৎপিণ্ডে পৌঁছায় না। এই অবস্থাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনও বলা হয়।
হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ অত্যন্ত সাধারণ, তবে এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা মহিলা ও পুরুষদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়। আসুন সেইসব লক্ষণগুলি জেনে নেওয়া যাক-
আরও পড়ুন: আর হেয়ার ডাই নয়! পাকা চুল কালো করুন নিমেষে, একদম প্রাকৃতিক উপায়ে
মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
বুকে ব্যথা বা টানটান
ক্লান্ত বোধ করা
এক বা উভয় হাতে ঝিনঝিন করা
চোয়াল বা গলায় ব্যথা
মাথা ঘোরা
শ্বাসকষ্ট
বুকজ্বালা বা বমি বমি ভাব
উপরের পিঠে চাপ বা কাতরতা অনুভব করা
বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
পিঠে ব্যথা
বাম হাতে ব্যথা
বমি বমি ভাব
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই এটি কমানোর চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ডায়েটে শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, গোটা শস্য, মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, যা ধমনীর ব্লকেজ কমায়।
ডায়েটে খুব বেশি লবণ এবং চিনি যোগ করবেন না। এসব কারণে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট অ্যারোবিক অনুশীলন করুন। এতে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে।
ধূমপান এবং মদ্যপান করবেন না। এগুলো হৃৎপিণ্ডের অনেক ক্ষতি করে।