এর আগে খবর মিলেছিলে ওয়ার্কআউটের সময় জিমেই হার্টঅ্যাটাক হয় কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবের। এরপর শুক্রবার ১১ নভেম্বর মাত্র ৪৬ বছরে জিমেই মারা যান হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্ধান্ত বীর সূর্যবংশী। এভাবে একের পর এক মৃত্যু মনে ভয় ধরিয়েছে অনেকেরই। বিশেষ করে যারা জিম ফ্রিক, তাঁরা ভয় পাচ্ছেন যে তাঁদের পরিণতিও এরকমই হবে না তো! আবার কারও বিশ্বাস অত্যাধিক শরীরচর্চার ফলেই ঘটছে এরকম ঘটনা। চলুন জেনে নেই ডাক্তাররা কী বলছেন এই বিষয়ে।
এক সংবাদমাধ্যমকে কার্ডিওলজিস্ট বিবেক চতুর্বেদী জানিয়েছেন, ‘তুমি যখন এক্সারসাইজ করছ, তখন সবার আগে যে জিনিসটা ফলো করতে হবে তা হল ‘Not Too much, too fast’। অর্থাৎ খুব বেশি দৌড়ানো, খুব বেশি ওয়েট ট্রেনিং, খুব বেশি রিপিটস করা যাবে না। বিশেষ করে যখন তোমার বয়স বাড়ছে বা ছোটবেলা থেকে তুমি খুব একটা অ্যাটিভ নও, বা মাঝে শরীরচর্চা ছেড়ে দিয়েছিলে এবং আবার শুরু করেছ। আর জলদি জলদি ফিট হওয়ার কথা ভাবছ। কোনও এক্সারসাইজ যদি তোমাকে অত্যাধিক ক্লান্ত করে দেয়, পরিশ্রান্ত বোধ করো বা মাথা ঘুরতে থাকে তবে ততক্ষণাৎ তা বন্ধ করতে হবে। এটাই বিপদের নির্দেশ।’
কোন কোন জিনিস হার্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় রিস্ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়?
যদিও হার্ট রিস্ক আছে কি না তা ১০০ শতাংশ অনুমানযোগ্য নয়, যে কোনও সময়তেই ঘটে যেতে পারে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তবে কিছু লাইফস্টাইলের সমস্যা বা কিছু রোগ রিস্ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন স্মোকিং, ডায়াবেটিস, হাই বিপি, হাই কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত ওজন, অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস, শরীরচর্চা না করা, প্রিজারভেটিভ খাবার বেশি খাওয়া, জানান ডাক্তার বিবেক।
ওয়ার্কআউটের ডুজ অ্যান্ড ডোন্ট:
যখনই তুমি ৩০ পেরিয়ে যাবে তোমার ওয়ার্কআউটের সময় ওয়ার্ম আম আর কুল ডাউনের সময়সীমা বাড়াতে হবে।
যখন দিনের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকবে তখন ওয়ার্কআউট না করাই ভালো।
যে এক্সারসাইজ তুমি করছ, সেটায় তুমি কতটা কমফর্টেবল তোমাকে দেখে নিতে হবে। ডাক্তার বিবেক বুঝিয়ে বলেন, ‘অনেকেই যেমন প্রশ্ন করেন ব্রিস্ক ওয়াকের স্পিড কতটা হওয়া উচিত। এবার ব্যাপার হল এটা ১৪ বছরের ক্ষেত্রে যেমন হবে ৫৫ বছরের ক্ষেত্রে তো আর তেমন হবে না। এবার তোমাকে এমন স্পিড নিতে হবে যাতে একটা গোটা সেনটেন্স একসঙ্গে বলতে তোমার সমস্যা হচ্ছে। এটা মানুষভেদে আলাদা। তোমাকেই এটা বুঝে নিতে হবে শরীর বুঝে।’