হৃদযন্ত্রে যখন ঠিক করে অখ্সিজেন পৌঁছোয় না, তখনই হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। একথা কম বেশি সকলেই জানেন। হৃদরোগের লক্ষণগুলিও অনেকেরই জানা। কিন্তু এ কথা জানেন কি পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে?
সাধারণত হৃদরোগের লক্ষণগুলি হল:
- বুকে ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- শীত করে, আবার সঙ্গে ঘাম হয়
- গা বমিবমি ভাব
- মাথা ঘোরা
- শরীরের উপরের অংশ আড়ষ্ট হয়ে যায়
মোটের উপর এগুলিই হৃদরোগের লক্ষণ। কিন্তু জানেন কি এই লক্ষণগুলি পুরুষের হৃদরোগের ক্ষেত্রেই বেশি মাত্রায় দেখা যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে সব ক’টা লক্ষণ এক হলেও একটি আলাদা হতে পারে। তেমনই বলছেন নামজাদা চিকিৎসক এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রমাকান্ত পাণ্ডা। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের সময়ে বুকে ব্যথা নাও হতে পারে।
তবে লক্ষণ যাই হোক না কেন, দেশে মহিলাদের হৃদরোগের পরিমাণ বাড়ছে। তার কারণ ৫০ শতাংশের কাছাকাছি মহিলারই কোলেস্টেরলের মাত্রা মারাত্মক বেশি। তার মধ্যে অতিমারির কারণে কমেছে বাইরে বেরোনো, হাঁটাচলার অভ্যাস। ফলে বেড়েছে হৃদরোগের আশঙ্কা।
কী করে মহিলারা হৃদরোগের আশঙ্কা কমাবেন? তারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক।
- প্রথমেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দরকারে নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করাতে হবে।
- প্রতি দিন অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটুন। তাতেও ভালো থাকবে হৃদযন্ত্র। কমবে হৃদরোগের আশঙ্কা।
- ভাজাভুজি আর জাংক ফুড খাওয়া বন্ধ করুন। তাতেও কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা।
- ধূমপানের অভ্যাস থাকলে, তা ছাড়তেই হবে। কারণ হৃদরোগের আশঙ্কা সবেচেয়ে বেশি মাত্রায় বাড়ে, এর কারণেই।
- মানসিক চাপ কমান। কোলেস্টেরল বাড়া থেকে হৃদরোগের অন্যতম কারণ এটিই।
- রোজ অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোন। তাতে ভালো থাকবে শরীর।
- গর্ভনিরোধক খান? তাহলে সেটিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান। কারণ অনেক গর্ভনিরোধক রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
- মদ্যপান করেন কি? তাহলে সেটিও করুন অল্প মাত্রায়। নাহলে বাড়তে পারে হৃদরোগের আশঙ্কা।
মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক কমানোর জন্য এই পরামর্শগুলি দেওয়া হলেও, আসলে এগুলি যে কোনও মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই নিয়মগুলির দিকে তাই নজর দিতে বলছেন চিকিৎসক।