হার্টের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। ভাত খেতে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাচ্ছে কিংবা হাঁটতে হাঁটতে হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এমতাবস্থায় এই ধরনের ভয়াবহ রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করা জরুরি। সঙ্গে জরুরি সময়ে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসাও প্রাণদায়ি হতে পারে। সম্প্রতি, হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এমনই একটি ওষুধের নাম, যা সময় মতো খেলে যেকোনও হার্ট অ্যাটাকের কবলে পড়া ব্যক্তি প্রাণ ফিরে পেতে পারেন।
হার্টের ডাক্তাররা প্রায়ই অ্যাটাকের সময় অ্যাসপিরিন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, বুকে ব্যথার ৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটে খেয়ে নিতে পারলে হার্ট অ্যাটাক থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়। হার্ভার্ডের টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এ এই গবেষণা করা হয়েছে। ফলে ডাক্তারদের পরামর্শ মতো বুকে ব্যথা হলে অ্যাসপিরিন ওষুধ খাওয়া যায়। এর দরুণ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।
গবেষকরা বলেছেন, 'অ্যাসপিরিন একটি কার্যকরী, কম খরচে হার্ট অ্যাটাক থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর উপায় হিসাবে পরিচিত। অ্যাটাকের সময় তাৎক্ষণিকভাবে বা ৪ ঘণ্টা পরে নেওয়া হলে সবচেয়ে বেশি সুফল দেখা যায়। অ্যাটাক হলে অনেক ব্যক্তিই, যাঁরা বুকে ব্যথা অনুভব করে, যা হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে বিশিষ্ট সূচক, গবেষকদের মতে, এটি সম্পর্কে ব্যক্তিরা সচেতন নাও হতে পারেন। বেশিরভাগই উপসর্গ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্যসেবা খোঁজেন না। অপেক্ষা করেন, আপনাআপনিই সেরে ওঠার।'
- এইভাবে অ্যাসপিরিন খেতে হবে
গবেষকরা বলেছেন, অ্যাসপিরিন গ্রহণের পর প্রতিরোধের অন্যান্য পদ্ধতিও বিবেচনা করে দেখা উচিত। আপনি যদি কখনও মনে করেন যে বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে, তাহলে জিহ্বার নীচে ৩২৫ মিলিগ্রাম অ্যাসপিরিন রাখুন বা চিবিয়ে খেয়ে নিন। তবে, গিলে ফেলার আগে এই ওষুধ ভালো করে চিবিয়ে নেওয়া ভালো। জলে মিশিয়েও পান করতে পারেন।এটি করলে তাৎক্ষণিক সুফল পাওয়া যাবে। চিবানো অ্যাসপিরিনকে দ্রুত শোষিত হতে সাহায্য করে। রক্ত প্রবাহ, রক্ত পাতলা করতে এবং সঞ্চালন উন্নত করতেও সহায়তা করে।
দ্রষ্টব্য: আপনার যদি অ্যাসপিরিনে অ্যালার্জি থাকে বা এমন কোনও শারীরিক অক্ষমতা থাকে, যা অ্যাসপিরিন ব্যবহারকে অনিরাপদ করে তোলে, যেমন কিছু নির্দিষ্ট রক্তপাতব্যাধি বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাতের হিস্ট্রি, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। প্রতিদিন অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যাসপিরিন গ্রহণ করা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।