বৃষ্টি হয়ে ক’দিন একটু স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। কিন্তু এর প্রভাব কত দিন থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই মাসেই আবার ব্যাপক মাত্রায় বাড়তে পারে গরম। আশঙ্কা তেমনই।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহ কমলেও অন্য রাজ্যের পরিস্থিতি মোটেই তা নয়। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাটে মারাত্মক পরিমাণে দাবদাহ চলছে।
এই অবস্থায় কী করবেন, আর কী কী করবেন না— এই বিষয়ে পরামর্শ দিল কেন্দ্র সরকারের বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতালগুলিকে কীভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে?
এই গরমে অনেকেই হিটস্ট্রোক জাতীয় সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। তাঁদের জন্য নানাভাবে সাবধান হতে বলা হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে কিছু জিনিস মজুত রাখতে:
- ঠান্ডা জল
- ওআরএস
- আইস প্যাক
- আইভি ফ্লুইড
- দরকারি ওষুধ
কী কী সমস্যা হতে পারে এই সময়ে?
ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহের কারণে বহু ধরনের সমস্যা হতে পারে প্রাপ্তবয়স্কদের:
- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
- মাথা ঘোরা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- ঘাম কমে যাওয়া, শরীর শুকিয়ে যাওয়া
- বুদ্ধি ঠিক করে কাজ না করা
- পেশির টান
- বমি বা বমি বমি ভাব
- হার্টের গতি বেড়ে যাওয়া
- শ্বাস নিতে সমস্যা
এছাড়াও শিশুদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে:
- খিদে কমে যাওয়া
- মূত্র উৎপাদন কমে যাওয়া
- চোখ শুকিয়ে যাওয়া, না কাঁদা
কীভাবে সাবধান হবেন এই সময়ে?
- দিনের সবচেয়ে গরমের সময়ে সম্ভব হলে বাড়ি থেকে বেরোবেন না
- বাড়ি থেকে যখনই বেরোন ছাতা ব্যবহার করবেন, টুপিও ব্যবহার করতে পারেন
- বেশি করে জল খাবেন
- মদ্যপান, কফিপান বা সোডা জাতীয় পানীয় পান করবেন না
অফিস বা কর্মক্ষেত্রের প্রশাসনকে পরামর্শ:
- কর্মীদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখুন
- কর্মীরা যাতে ২০ মিনিট অন্তর জল পান করেন, সেদিকে খেয়াল রাখুন
- দুপুরে কাউকে বাইরে কাজ করতে বাধ্য করবেন না
- কেউ যদি দুপুরে বাইরে কাজ করতে বাধ্য হন, এমন ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে সরাসরি রোদে কাজ না করতে হয়
এভাবেই আপাতত গরমের মোকাবিলা করতে বলা হচ্ছে সরকারের তরফে। পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে বলা হচ্ছে সকলকে।