চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন নতুন ঘটনা মাঝে মাঝে বিজ্ঞানীদেরও তাক লাগিয়ে দেয়। হালে এমনই হল ইংল্যান্ডে। ২৮ দিন কোমায় কাটানোর পর জ্ঞান ফিরল এক নার্সের। যে ওষুধে তাঁর জ্ঞান ফিরল, তার সঙ্গে এই ধরনের চিকিৎসার প্রত্যক্ষ ভাবে কোনও সম্পর্ক নেই। সেটি সম্পূর্ণ রূপেই পুরুষদের যৌন বলবর্ধক ওষুধ।
ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যকর্মী মোনিকা আলমেইডা। বয়স ৩৭ বছর। গত বছরের শেষ দিকে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে থাকে। তখন তাঁকে লিঙ্কনশায়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে এক সপ্তাহ থাকতে থাকতেই ক্রমশ তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তিনি কোমায় চলে যান।
এই অবস্থাতেই ২৮ দিন কেটে যায়। কোনও ভাবেই তাঁর জ্ঞান ফেরানো সম্ভব হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকরা তাঁর শরীরে অত্যন্ত কড়া মাত্রার ভায়াগ্রা প্রবেশ করান। সেই ওষুধের ফলেই জ্ঞান ফেরে মোনিকার।
কী করে এটি সম্ভব হল? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভায়াগ্রা মূলত erectile dysfunction সারানোর ওষুধ। এটির কাজই হল শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ানো। অথচ এটির ব্যবহারে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। মোনিকার ক্ষেত্রে, তাঁর মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছোতে পারছিল না। তাই তাঁর জ্ঞান ফিরছিল না। শেষ পর্যন্ত কড়ার মাত্রার ভায়াগ্রা প্রয়োগ করার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছোয়। আর তাতেই জ্ঞান ফেরে মোনিকার।
তবে এর পাশাপাশি চিকিৎসকদের অন্য একটি ঘটনাও চিন্তায় ফেলেছে। মোনিকারও করোনার টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও কোবিড সংক্রমণ এমন বাড়াবাড়ি জায়গায় পৌঁছোয়। সেক্ষেত্রে কাদের ক্ষেত্রে এই টিকা কাজ করছে, কাদের ওপর এর প্রভাব কম— তাও খতিয়ে দেখতে চাইছেন চিকিৎসকরা।
তবে আশার কথা, এর মধ্যেও চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন একটি দিক