স্তন ক্যানসারের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন হিনা খান। এই মরন রোগের সঙ্গে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য লড়াই করে চলেছেন তিনি। তবে লড়াইটা যে এতটা কঠিন সেটা হয়তো তিনি নিজেও জানতেন না। কেমোথেরাপির মাঝেই আবার নতুন রোগ বাসা বাঁধলো অভিনেত্রীর শরীরে।
মিউকোসাইটিস কী?
কেমোথেরাপির মধ্যেই মিউকোসাইটিস রোগে আক্রান্ত হলেন অভিনেত্রী হিনা খান। গত বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে এই খবর নিজেই দেন তিনি। এই রোগটি মূলত কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেই হয়। কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে যেমন উল্লেখযোগ্য চুল পড়ে যাওয়া বা পেটের সমস্যা হওয়া ঠিক তেমনি এই রোগটিও রয়েছে তালিকায়। মূলত যাদের শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যায়, তাদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা সব থেকে বেশি।
(আরও পড়ুন: মোমো এবং ডিম সামের মধ্যে পার্থক্য কী? মজার উত্তর দিয়ে ভাইরাল দিল্লির ব্যক্তি)
মিউকোসাইটিস - এর উপসর্গ:
মিউকোসাইটিস রোগের মূল উপসর্গ হচ্ছে গলা, মুখের ভেতর এবং ঠোঁটে অসহ্য ব্যথা। খাবার গিলতে ভীষণ সমস্যা হয় এই রোগ হলে। শক্ত খাবার খেলেই হয় রক্তপাত। কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখা যায়। তবে কেমোথেরাপির মাত্রা কম বেশি করা হলে অথবা ওষুধের মাধ্যমে এই সমস্যাকে কমানো যেতে পারে।
মিউকোসাইটিস - এর প্রতিকার:
যেহেতু এটি মুখের ভেতরের সমস্যা, তাই মুখের ভেতর পরিষ্কার থাকা ভীষণ জরুরী। অ্যালকোহল জাতীয় মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয় এই রোগ হলে। তেল জাতীয় খাবার বা জাঙ্ক ফুড খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। সব থেকে ভালো হয়, যদি তরল খাবার খাওয়া যায়।
(আরও পড়ুন: পুজোর সময় কম খরচে পাহাড় যাওয়ার প্ল্যান? ভিড় এড়াতে চলে যান দার্জিলিংয়ের এই অফবিট পাহাড়িগ্রামে)
কেমো থেরাপি চলাকালীন কেন এই রোগ হয়?
মিউকোসাইটিস যে কোনও সময় হতে পারে। তবে যেহেতু কেমোথেরাপির সময় খাওয়া-দাওয়া একেবারেই কমে যায়, ফলে শরীরে পুষ্টির মান অনেকটাই কমে যায়। দেহের ওজন কমে যায় ফলে সহজে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। তবে দুটি কেমোথেরাপির মধ্যে সময় যদি অনেকটা দীর্ঘ হয় তাহলে এই রোগের আশঙ্কা থাকে না।