দোল এলেই নাকে আসতে শুরু করে নানান লোভনীয় খাবার-দাবারের সুবাস। খাসি বা পাঁঠার মাংস এদিন অনেকেরই বাড়িতে হয়ে থাকে। কিন্তু এছাড়াও আরও অনেক খাবার দাবার রয়েছে যা দোলের দিনে রান্নাঘরে রাজত্ব করে। দোলের খাবারের মধ্যে অন্যতম হল গুজিয়া বা পেরাকি।
গুজিয়া তৈরির জন্য ময়দার মধ্যে ঘিয়ের ময়াম দিয়ে জল দিয়ে মেখে নিতে হবে। এরপর লুচির মতো গোল গোল বেলে নিয়ে এর মধ্যে নিজের পছন্দের পুর ভরে এর মুখ বন্ধ করে, মুখগুলি সুন্দর করে মুড়ে দিন। অর্ধবৃত্তাকৃতি দেখতে হবে এই পেরাকি। তারপরই একে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। গুজিয়া ভেজে তোলার পর চিনির রসে ডুবিয়ে রাখতে পারেন বা এমনিও খেতে পারেন। চিনির রসে ডোবাতে চাইলে পুরের মধ্যে সামান্য মিষ্টি দেবেন। আর কেউ যদি এমনিই খেতে চান, তা হলে পুরের মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে প্রথমে পুরটিকে ভেজে নিয়ে ময়দার মধ্যে ভরুন। সাধারণত নারকেল কোড়া বা খোয়ার মধ্যে ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে পেরাকির পুর তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে অধিকাংশ লোকেরাই স্বাস্থ্যসচেতন। তাই এখানে জানুন কোন কোন উপায় ও কী কী পুর দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর পেরাকি।
বেকড পেরাকি
সাধারণত ডুবো তেলে ভাজা পেরাকি খেতে সুস্বাদু হলেও, আপনি যদি স্বাস্থ্যকর উপায় এটি তৈরি করতে চান, তা হলে একে মাইক্রোওয়েভে বেক করে বানাতে পারেন। এক্ষেত্রে নিজের পছন্দের পুর ভরে বেক করে নিন। বেক করার ফলে কিছুটা হলেও কম ক্যালরি যাবে শরীরে।
সুজির পেরাকি
ময়দা অনেকেই খেতে চান না। তাই অল্প ময়দার সঙ্গে অধিক পরিমাণে সুজি মিশিয়ে মেখে নিন। এরপর এতে পছন্দমতো পুর ভরে ভেজে তুলুন।
বেকড ওটস পেরাকি
দোলে এমনিতেও নানান ধরণের মিষ্টি খাওয়া হয়ে থাকে। অনেকে আবার মিষ্টি খেতে চান না, সেক্ষেত্রে নোনতা বেকড ওটস পেরাকি বানাতে পারেন। আটা, ড্রাইফ্রুটস ও ওটস দিয়ে খুব সহজে এই গুজিয়া বানিয়ে ফেলতে পারেন।
খেজুর ও অঞ্জীর পেরাকি
এই দুটিই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই খোয়ার স্থানে এই দুইয়ের ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের মধুমেহ রয়েছে, তাঁরা দোল উপলক্ষে এই গুজিয়া খেতে পারেন। অধিক স্বাস্থ্যকর তৈরি করার জন্য ভাজার পরিবর্তে এই পেরাকিকে বেক করুন।
ড্রাই ফ্রুটস পেরাকি
বাদাম, পেস্তা, কিশমিশ, কাজু, খেজুর দিয়ে এই গুজিয়ার পুর তৈরি করুন। এটি রাজস্থানে ঘুগ্রস নামেও প্রসিদ্ধ। দোল উপলক্ষে ড্রাই ফ্রুটস গুজিয়া জনপ্রিয় মিষ্টি।
মিক্স ফ্রুট পেরাকি
ড্রাই ফ্রুটের পাশাপাশি তাজা ফলও গুজিয়ায় ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বাদাম, কাজু, কিশমিশ ও নারকেল কোড়ার সঙ্গে নাশপাতি বা অন্যান্য পছন্দসই ফল ব্যবহার করে পেরাকিকে করে তুলতে পারেন স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু।
গাজরের পেরাকি
ড্রাইফ্রুটস ও নারকেলের সঙ্গে গ্রেট করা গাজরের পুর দিয়েও পেরাকি বানাতে পারেন।
উল্লেখ্য, যে পেরাকিই বানান না কেন, তার পুরকে সামান্য ঘিয়ে ভেজে তাতে চিনি মেশাতে ভুলবেন না।