কোনও উৎসবই মিষ্টিমুখ ছাড়া সম্পন্ন হয় না। আর হোলির মতো উৎসবে তো মিষ্টির প্রয়োজন রয়েছেই। অনেকেই এই দিনে ঘরে বানাতে পছন্দ করেন নানান ধরনের মিষ্টি। তবে সব মিষ্টি যে বাড়িতে বানানো যায়, তা নয়। অনেকেই মনে করেন, জিভে জল আনা সমস্ত মিষ্টি বাড়িতে বানানো যায় না। তবে একাধিক এমন ধরনের মিষ্টি রয়েছে। যা সহজেই বানানো যায় বাড়িতে। মূলত, জিলিপি থেকে শুরু করে, একাধিক রকমের পদ এমনও রয়েছে যা জিভে যেমন জল আনে, তেমনই বাড়িতেও তা বানানো যায়। একনজরে দেখা যাক, কেশর জিলিপি থেকে আনারসের গুজিয়ার রেসিপি।
কেশর জিলিপি প্রণালী
চারভাগের এক ভাগ দই ও আধ কাপ ময়দা লাগবে। একটি ফুটোওয়ালা চৌকানো কাপড় লাগবে। দরকার একটি মোটা প্লাস্টিক। যার ভিতর ফুটো করা থাকবে। প্রয়োজন ১ কাপ চিনি। ১ কাপ জল। আধ কাপ কেশর। ময়দা ও দই মিশিয়ে তা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা রাখতে হবে। চিনি দিয়ে তৈরি করতে হবে রস। রস ঘন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। চিনি গলতে থাকলেই তাতে দিতে হবে কেশর। অন্যদিকে, যখন এই মিশ্রণটি চামচ দিয়ে উঠিয়ে প্যানে ঢেলে দেওয়া হয়, তখন এটি একটি পাতলা মসৃণ দেখা যাবে। এরপর কড়ায় নিয়ে নিন ঘি। প্লাস্টিকের ফুটো অংশ দিয়ে আস্তে আস্তে সেখানে ঢালতে থাকুন ব্যাটারটি। প্লাস্টিকের ফুটো যত ছোট হবে, তত পাতলা হবে জিলিপি। হালকা আঁচে করতে হবে এই রান্না।
আনারসের গুজিয়া
এই গুজিয়া বানাতে ১ কেজি আনারস লাগবে, ২০০ গ্রাম খোয়া লাগবে, সবুজ এলাচ লাগবে অর্ধেক চামচ। ২৫ গ্রাম পিষে দেওয়া আমন্ড লাগবে। কাজু লাগবে ২৫ গ্রাম। নারকেল কুচি ২৫ গ্রাম, কিশমিশ ২৫ গ্রাম লাগবে। ১০০ গ্রাম মতো লাগবে চিনি। ময়দা তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এরপর ভেজা কাপড় দিয়ে মণ্ডকে ঢেকে দিন। ঘি দিয়ে এরপর টুকরো টুকরো করে কাটা আনারসকে ভাজুন হালকা করে, খানিক বাদে ঢালতে থাকুন খোয়া। অল্প আঁচে কাজু, কিশমিশ, এলাচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। একটু ঘন হতে থাকলে আঁচ বন্ধ করুন। এরপর ময়দার লেচি বানিয়ে, তা বেলে নিয়ে ভিতরে আলকা জায়গা করে নিন। সেখানে রেখে দিন আনারসের পুর। ময়দার অংশের মুখ বন্ধ করে দিন। এরপর তা কড়ায় দিয়ে ভেজে তা সোনালী রঙ করে ভেজে তুলে নিন।