পিত্তথলিতে পাথর হলে প্রথমে তা বোঝা যায় না। অনেকে সাধারণ পেট ব্যথা ভেবে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নেয়। তাতে কিছুই কাজ দেয় না। উল্টে ভুগতে হয় রোগীকে। পেটের ডানদিকে, মাঝখানে যদি ব্যথা হয়, আগে থেকে সাবধান হয়ে যান। হতে পারে গলব্লাডারে স্টোন। পাথর ছোট হলে সহজেই গলে যায়। অন্ত্রের মাধ্যমে পিত্ত থলি দিয়ে বেরিয়ে আসে। আর না বেরোতে পারলে হতে পারে একাধিক সমস্যা। এর চিকিৎসা না করালে বেশ মুশকিল। কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন গলব্লাডারে স্টোন হয়েছে?
হঠাৎ করেই খাওয়া-দাওয়ার ইচ্ছে চলে গিয়েছে? খাবার হজমে হচ্ছে সমস্যা? গ্যাস-অ্যাসিডিটি লেগেই রয়েছে? তাহলে আর দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
কাঁধে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, বমি বমি ভাব, তাহলে এখনই সাবধান হওয়া জরুরি। স্টোনের সমস্যা থাকলে এমনটা হতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে বাড়ির কয়কটি খাবারে ভরসা রাখতে পারেন। সেইগুলি হল
হলুদ
পেটের সমস্যার একটাই যম-- কাঁচা হলুদ। হলুদে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুণ। যা পিত্তরসকে ঠিক রাখে। রোজ সকালে খালি পেটে মধু সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খান। এতে শরীর ভালো থাকবে।
লেবুর রস
পেটের রোগ সারাতে লেবুর বিকল্প কিছুই নেই। লেবুর রসে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। গলব্লাডারে স্টোন আটকাতে লেবুর রস খেতেই হবে। সকালে খালি পেটে লেবুর রস মিশিয়ে এক গ্লাস জল খান।
নারকেল তেল
নারকেল তেল পিত্তথলির পাথর দূর করতে কাজে লাগে। তিন চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ১/৪ গ্লাস আপেলের রস, ৫ কোয়া রসুন এবং এক টুকরো আদা থেতো করে খান। আর দেখুন চমৎকার। এই মিশ্রন খেলে কিন্তু পাথর গলে যায়।
ক্র্যানবেরির জুস
গলব্লাডারে স্টোন থাকলে ক্র্যানবেরির জুস খুবই উপকারে আসে। এই জুসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফাইবার কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে পিত্তথলিতে পাথর হয় না।
কিডনিতে পাথর এখন সাধারণ সমস্যা। চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি এই সব খাবারে ভরসা করে দেখতে পারেন।