আমরা বিভিন্ন রান্নায় হলুদের ব্যবহার করি। শাকসবজি থেকে আমিষ বিভিন্ন রান্নাতেই স্বাদ বাড়াতে হলুদের ব্যবহার করা হয়। শুধু স্বাদের জন্যই নয়, হলুদ শরীরের জন্য খুব উপকারী খাদ্য হিসাবেও ধরা হয়। মনে করা হয় শরীরে প্রদাহ জনিত সমস্যা রোধ করতে হলুদ খুবই কার্যকরী। কিন্তু হলুদ কি স্বাস্থ্যের জন্য ততটাও উপকারী, যতটা মনে করা হয়? দেখা যাক বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
হলুদ হল,Curcuma longa,নামক ফুল গাছের গ্রন্থিকান্ড। হলুদের উপকারিতা নিয়ে ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ও প্রাচীন যুগের চিনা চিকিৎসাপদ্ধতিতে অনেক কথা বলা আছে। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসকদের একাংশের মতে, হলুদের উপকারিতা কতটা সেই বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। (আরও পড়ুন: পুরুষদের ভালো ঘুম না হলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, অসুখের তালিকাটা রীতিমতো ভয়ের)
হলুদে কার্কিউমিনের পরিমাণ কত?
হলুদের উপকারিতার কারণ হিসাবে এর প্রধান উপকরণ কার্কিউমিন যৌগের কথা বলা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদে কার্কিউমিন যৌগের পরিমাণ মাত্র ৩ শতাংশ। অর্থাৎ হলুদের মাধ্যমে কার্কিউমিন যৌগের উপকার পেতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ হলুদ খেতে হবে। কার্কিউমিনের উপকারিতা হিসাবে বলা যেতে পারে, আর্থরাইটিস বা হৃদরোগের মতো রোগের বিরুদ্ধে এই যৌগটি খুবই কার্যকরী। (আরও পড়ুন: আলু খেলে আর বাড়বে না ওজন, শুধু জানতে হবে সঠিক উপায়!)
যদিওEuropean Medicines Agency-বলছে হলুদের ব্যবহারে হজম বা বাতের ব্যথার কিছু সমস্যা দূর হতে পারে। কিন্তু অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে হলুদের উপকারিতা কতটা, সেই বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য পরিসংখ্যান নেই। (আরও পড়ুন: ছুলির সমস্যায় ভুগছেন? হেঁশেলের এই উপাদানটি ম্যাজিকের মতো সমস্যা কমাবে)
প্রায় একই কথা বলছে আমেরিকার National Institutes of Health। তাঁদের মতে, হলুদের মাধ্যমে আদৌ কোনও জটিল শারীরিক সমস্যা দূর হয় কি না সেই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই।