অনলাইনে কেনাকাটায় আজকাল অভ্যস্ত আট থেকে আশি। করোনা আসার আগে অনলাইন শপিং যতটা না জনপ্রিয় ছিল, আজ সেটার প্রতি ঝোঁক আরও বেড়েছে। সবজি বাজার থেকে জামাকাপড়, ঠান্ডা পানীয় থেকে ইলেকট্রনিক্স-- আজকাল বেশিরভাগ বাড়িতেই ভরসা অনলাইনে। বাড়ির বাইরে পা রাখারও প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আরামে বসেই কিনে নেওয়া যায় প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি। তবে অনলাইন শপিং যত জনপ্রিয় হচ্ছে, ঠিক ততটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে অনলাইন প্রতারণার ঘটনা। প্রায়ই খবরে জায়গা করে নিচ্ছে এই ধরনের ঘটনা। দেখুন কেনাকাটার সময় কোন কোন দিকে খেয়াল রাখবেন।
১. প্রতারক চক্র অনেক সময়ই বিখ্যাত কিংবা প্রতিষ্ঠিত কোন অনলাইনের ওয়েবসাইটের হুবহু নকল তৈরি করে। তবে খেয়াল করলে দেখবেন বানানো কিংবা লোগোতে থাকা বেশ কিছু পরিবর্তন।
২. এমনকী, URL-এ চোখ রাখলেও ব্যাপারটা পরিষ্কার করে বুঝতে পারবেন। ওয়েব এড্রেসে ‘http’ এর সঙ্গে ‘s’ না থাকলে অর্থাৎ ‘https’ না থাকলে সেই ওয়েবসাইট থেকে দূরে থাকুন।
৩. এক্ষেত্রে ডোমেন নেম-ও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ওয়েবসাইটে www-র পর একটি নাম এবং শেষে .com থাকবে। কোনও নম্বর দিয়ে শুরু হওয়া ওয়েবসাইট ফোন বা কম্পিউটার থেকে না খোলাই ভালো।
৪. ফেসবুক বা গুগুলের পুশ নোটিফিকশনে অনেকসময় এমনকিছু ওয়েবসাইট আসে যেগুলোর দাম সত্যি চমকে দেওয়ার মতো। অস্বাভাবিক কম দামে পণ্য বিক্রি'র চটকদার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। এই ফাঁদে অজানা ওয়েবসাইটে ব্যঙ্ক পেমেন্টের পথে না হাঁটাই ভালো। দরকার পড়লে COD-তে পন্য অর্ডার করুন।
প্রতিষ্ঠিত অনলাইন না হলে কিংবা প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকলে অনলাইন পেমেন্ট করা এরিয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি যদি অর্ডারটি ক্যাশ অন ডেলিভারিতে করেন এবং পণ্য হাতে পেয়ে দেখে-শুনে তারপর অর্থ দেন। এতে ঠকার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।