জনসংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জন করার পর দেশের জনসংখ্যা ৩৩৬ মিলিয়ন থেকে বের হয়েছে ১.৫ বিলিয়ন। শুধু জনসংখ্যা নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দারিদ্রতা, সংক্রমণ এবং রোগ। কমেছে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য পরিষেবা। কিন্তু কেন তৈরি হয়েছে এই সমস্যা?
সম্প্রতি HT লাইফ স্টাইলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ভারতের জনসংখ্যা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, পুনাম মুত্রেজা বলেছেন, ভারতের অতিরিক্ত জনসংখ্যা ভারতের জনস্বাস্থ্যকে ব্যাপক আকারে প্রভাবিত করছে। তবে শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করলে হবে না, পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা, প্রজনন স্বাস্থ্য পরিসেবাকেও শক্তিশালী করে তুলতে হবে।
(আরও পড়ুন: গাড়ির ট্যাঙ্ক থেকে পড়ে নষ্ট হল ডিজেল, রিল বানাতে গিয়ে যুবকের কাণ্ড দেখে বড় পদক্ষেপ পুলিশের)
গাইনোকোলজিস্ট ডক্টর গান্ধালী দেওরুখার বলেন, ২০১১ সালে একটি সমীক্ষায় জানা যায়, ভারতে প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন মাত্র ২০ জন। এই ২০ জনের মধ্যে এলাপ্যাথি ডাক্তার রয়েছেন ৩১ শতাংশ, নার্স ৩০ শতাংশ, ফার্মাসিস্ট ১১%, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৯ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই একটি বিরাট বড় জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের দায়ভার মাত্র কিছু শতাংশ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা কিছুতেই উন্নত করা সম্ভব হচ্ছে না।
বাড়তে থাকা জনসংখ্যা ছাড়াও আর কী কী সমস্যা রয়েছে
স্বাস্থ্য সেবার খরচ: দেশের নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীদের মানুষরা যথাযথ স্বাস্থ্য পরিসেবা পান না। অর্থের অভাবে তাঁরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকেন।
(আরও পড়ুন: নেট কালো পোশাকে বোল্ড লুকে তারা, আগুন ছড়ালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়)
জন্মের হার: ভারতের বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারে একাধিক শিশু সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। জন্ম দেওয়ার পর বেশিরভাগ শিশুর অপুষ্টিতে ভোগে, যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে সেই সমস্ত শিশুদের ক্রমাগত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হয় না।
মহিলাদের শিক্ষার হার: ভারতে বাড়তে থাকা জনসংখ্যার একটি অন্যতম কারণ হলো মহিলাদের শিক্ষার অভাব। একটি পরিবারে যদি একজন শিক্ষিত মহিলা থাকেন, তাহলে সেই পরিবারে একাধিক সন্তান জন্মের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। একটি পরিবারে যদি দুইটির বেশি সন্তান না থাকে, তাহলে আপনা আপনি ভারতের জনসংখ্যা কমে যাবে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপরেও চাপ কম পড়বে।