সারা বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে প্রস্টেট ক্যান্সারের আশঙ্কা। পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুর একটি বড় কারণ এই ক্যান্সার। এমনিতেই প্রতিদিনের কাজের চাপে শরীরের খেয়াল রাখা সম্ভব হয় না। তার উপর ক্যান্সার হল সাইলেন্ট কিলার। অর্থাৎ কখন একজন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, তা বোঝা দুস্কর। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতেও বাড়ছে এই রোগ। ভারতে অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় প্রস্টেট ক্যান্সার। এমনকি এই ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।
পুরুষদের যৌনাঙ্গের নিচে মলদ্বারের সামনে থাকে প্রস্টেট নামের অঙ্গটি। এই অঙ্গেই বীর্য উৎপন্ন হয়। চিকিৎসকদের কথায়, এই রোগটি মূলত বয়সজনিত রোগ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। পরিবারের কারও এই ক্যান্সার হয়ে থাকলে পরের প্রজন্মে আশঙ্কা আরও বাড়ে। রোগটি এড়ানোর কোনও বিজ্ঞানসম্মত উপায় এখনও পর্যন্ত নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস ঠিক থাকলে এই রোগটি অনেকটাই এড়ানো যায়।
১. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: প্রতিদিনের জীবনযাপনের উপরেই নির্ভর করছে এই রোগ। মশলাদার ও তৈলাক্ত খাবার খেলে শরীর খারাপের আশঙ্কা বাড়ে। তার উপর দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত ঘুমের ফলে শরীর খারাপ হয়। এর থেকে প্রস্টেট ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ে।
২. অতিরিক্ত ওজন: বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রস্টেট ক্যান্সারের রোগীদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে। একটি বয়সের পর অতিরিক্ত ওজন নানারকম রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তেমনই প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম অনেকেই করেন না। অথচ ব্যায়ামই ওজন কমাতে সাহায্য করে। রোজ ২০ মিনিট ব্যায়াম করলে প্রস্টেট কেন, অন্য অনেক রোগই আপনাকে ছুঁতে পারবে না। দিনে ২০ মিনিট ও সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ব্যায়াম করা উচিত।
৪. রেড মিট বাদ: রেড মিট ও প্রসেসড মিট শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। এর থেকে প্রস্টেটের আশঙ্কা বাড়তে পারে। পাশাপাশি আরও অনেক শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।
৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খান:রোজকার খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে কিনা দেখে নিন। না থাকলে তেমন খাবারই খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত স্ট্রেস বা চাপের কারণেই আমাদের শরীর খারাপ হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার এই স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এতে শরীর ভালো রাখে। পাশাপাশি কোনও রোগ সহজে বাসা বাঁধতে পারে না।